চাঞ্চল্যকর চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় ২৩ বছর পর মঙ্গলবার আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। পরিচিতজনদের ফোন পেয়ে বুধবার খবরটি জানতে পারেন লামিয়া। তবে এই নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ তিনি।
বুধবার দুপুরে একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এত বছর পর আসামি গ্রেফতার হয়েছে, দেখলাম। দেখতে চাই কী হয়। আই ক্যানট শেয়ারিং এনিথিং অ্যাট দ্য মোমেন্ট। সরি অ্যাবাউট দ্যাট। কিছুই বলার নাই, দেখছি কী হচ্ছে। অনেক বছর পর আসামি গ্রেফতার করছে তারা, দেখি কী হয়।’
ঢাকাই সিনেমার তারকা জুটি সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতির দুই সন্তান শাফায়েত চৌধুরী ও লামিয়া চৌধুরী।
লামিয়া পড়াশোনা করেছেন কানাডায়। টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে নির্মাতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। দিতির মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী ‘দুই পুতুল’ শিরোনামে একটি নাটক নির্মাণ করেছেন লামিয়া। এরপর আর নিয়মিত দেখা যায়নি তাকে।
বর্তমানে ঢাকাতেই বসবাস করছেন লামিয়া। ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে ফাস্টফুড সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি।
অন্যদিকে, কানাডার রিয়ারসন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে নেদাল্যান্ডসের আমস্টারডামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন শাফায়েত।
গত বছরের মাঝামাঝি নেদাল্যান্ডসের এক তরুণীকে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে আমস্টারডামে বসবাস করছেন শাফায়েত।
১৯৯৮ সালে বনানীর এক ক্লাবের সামনে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন সোহেল চৌধুরী। ২০১৬ সালে ক্যান্সারে মা দিতিকে হারান তারা।
বাবার মৃত্যুর ২৩ বছর পেরোলেও এখনও বিচার পাননি তারা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আশীষ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১ নম্বর আসামি। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ছিলেন।