বাবা-মায়ের স্পর্শ ছাড়াই চির নিদ্রায় শায়িত হলো ছোট্ট শিশু জায়ান। বুধবার আসরের নামাজের পর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দাফনের সময় বাবা-মাকে কাছে পায়নি জায়ান। কারণ বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়ে শ্রীলঙ্কায় কলম্বোর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন তার বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স। আর বাবার পাশে আছেন জায়ানের মা।
এর আগে বুধবার পৌনে ১টায় শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ছোট্ট জায়ানের মরদেহ হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে জায়ানের মরদেহ গ্রহণ করেন সংসদ সদস্য শেখ সেলিম। এরপর তা বনানীর ২/এ’র ৯ নম্বর বাসায় নেওয়া হয়।
দুপুর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বাসায় যান। প্রধানমন্ত্রী বাসায় প্রবেশের পর সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শেখ সেলিমসহ জায়ান চৌধুরীর আত্মীয়-স্বজনরা। বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বাসা থেকে বের হয়ে যান।
রবিবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে সিরিজ বোমা হামলা হয়। শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী প্রিন্স এবং দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকায় রেস্তোরাঁয় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয় জায়ান। আর এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তার বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স।