বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, দলের দুর্বলতা চিহ্নিত করে পুনর্গঠন শুরু হয়েছে। এ জন্য নেতাকর্মীদের কাছে ‘একটু সুযোগ’ চেয়েছেন তিনি। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দু’টি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
একাদশ নির্বাচনের ‘অনিয়ম-কারচুপি’ তুলে ধরতে গত শুক্রবার গণশুনানি করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ওই নির্বাচনে যারা ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন, তারা নির্বাচনের অনিয়মের চেয়ে মুখর ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনায়। প্রার্থীদের প্রশ্ন ছিল- কেন তাদের একটি ‘পাতানো’ নির্বাচনে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। ভোটের আগে লাগাতার হামলা-মামলা হলে বিএনপি কেনো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। নির্বাচনে ‘নরিজবিহীন কারচুপি ও ভোট ডাকাতির’ পরও কোনো আন্দোলনে যেতে পারেনি দলটি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন আন্দোলনে যাচ্ছে না বিএনপি।
দলের নেতাকর্মীদের প্রশ্নের মুখে বিএনপির নেতৃত্ব। গণশুনানির পরের দিন ড. মোশাররফ বলেন, আমাদের একটু সুযোগ দেন। দলের মধ্যে যেখানে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে পুনর্গঠন শুরু হয়েছে। কারণ, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে না পারলে জনগণকে নেতৃত্ব দিতে পারব না।
একাদশ নির্বাচনে অভাবনীয় বিপর্যয় হয় বিএনপির। দলটির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৮টি আসন পেয়েছে। ড. মোশাররফ বলেছেন, অনেকে মনে করছে, বিএনপি পরাজিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপি পরাজিত হইনি। আবার অনেকেই বলেন, বিএনপির কর্মীরা হতাশ। তা তিনি বিশ্বাস করেন না। বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ নয়, হতভম্ব।
বিএনপির সামনে বিরাট সুযোগ রয়েছে বলে মনে এই নেতা। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা বিএনপির সামনে বিরাট সুযোগ। আওয়ামী লীগ তা করবে না। দল হিসেবে বিএনপি এ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। তিনি জানান, বিএনপি সময়ের অপেক্ষা করছে।
চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ড. মোশাররফ বলেন, এর আগে নিমতলীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময়ও শোনা গিয়েছিল পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদাম থাকবে না। সরকার অনেক কথাই বলেছিল, কিন্তু একটিও বাস্তবায়ন হয়নি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার।