বিএনপির আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’র মতো: তথ্যমন্ত্রী

image-128550-1580987622

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের চিত্র তুলে ধরেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দেওয়ার যোগ্য মানুষদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়, আর তার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। অর্থাৎ মোট ভোট দেওয়ার যোগ্য মানুষদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে।’

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেবসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংক’র ৫ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৯ শতাংশ আর উত্তরে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দ্বিগুণ ভোটে জয়লাভ করেছে। এখন এই লজ্জা ঢাকার জন্য তাদের (বিএনপি) নানা কথা বলতে হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সেই কথাগুলোই বলছেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে গৎবাঁধা অভিযোগগুলো বাদ দিয়ে বিএনপিকে বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। শুধু বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনও নির্বাচন নিয়ে নানান কথা বলেছেন। বাংলাদেশে কোনও বিষয় নিয়ে মাওলানারা যেভাবে ফতোয়া দিয়ে থাকেন, একইভাবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ফতোয়া দেওয়া শুরু করেছেন। যা আদৌ যথার্থ নয়।

তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে তাদের (বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট) অভিযোগ সত্য নয়। ইভিএম-এ যেভাবে ভোট হয়েছে, এর চেয়ে স্বচ্ছ ভালো ভোট বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কখনো হয় নাই। ইভিএম প্রত্যেক দলের জন্য পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এখানে কারো ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ভোট দেয়ারও সুযোগ নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আদালত ছাড়া তাকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার সরকারের নাই। তারা বারংবার সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আইন এবং আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। সমাবেশ তারা অতীতেও করেছে। তার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করতে গিয়ে তারা হাঙ্গামা, মানুষের ওপর আক্রমণ ও গাড়িঘোড়া ভাংচুর করেছে।’

বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমস্ত বিচার বিশ্লেষণ করে অনুমতি দেবে কি দেবে না সিদ্ধান্ত নেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে তাদের উদ্দেশ্যটা কি, সমাবেশ করা, না কি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।’

স্কুলে ট্রাফিক আইন শেখানো প্রয়োজন: এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি চিকিৎসাদাতা বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংক’র ৫ম বর্ষপূর্তিতে সংস্থার চেয়ারম্যান মৃদুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শেখানো প্রয়োজন, সেটা সারাজীবন মনে থাকবে। বিআরটিএকে সারাদেশে আরও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিআরটিএ-সার্টিফাইড বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যদি ড্রাইভিং শিক্ষা দেয়, তাহলে দেশে প্রশিক্ষিত ড্রাইভারের সংখ্যা আরও বাড়বে। অন্তত যে পরিমাণ গাড়ি আছে সেই পরিমাণ ড্রাইভার পাওয়া যাবে। যে পরিমাণ গাড়ি আছে তার চেয়ে বেশি ড্রাইভার দরকার।

Pin It