একাদশ সংসদে বিএনপির জন্যে নির্ধারিত একমাত্র সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন রুমিন ফারহানা।
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব থাকা এই আইনজীবী সোমবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ঘোষিত তফসিলে ২১ মে বাছাই এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য ২৮ মে পর্যন্ত সময় রাখা হয়েছে। ভোটের তারিখ রাখা হয়েছে ১৬ জুন।
কিন্তু সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে একটি আসনে একক প্রার্থী থাকেন বলে ভোটের আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয় না। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন শেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় প্রার্থীকে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি দেখেন যে সব কাগজ ঠিক আছে, তবে গেজেট প্রকাশ করা হবে।”
একাদশ সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র জোটের একজন রয়েছেন।
বিএনপির নির্বাচিতরা আগে শপথ না নেওয়ায় তাদের জন্য নির্ধারিত একটি নারী আসন স্থগিত ছিল। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়া বাকিরা একেবারে শেষ সময়ে শপথ নিলে তাদের জন্য নির্ধারিত একটি নারী আসনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
অলি আহাদের মেয়ে রুমিন ফারহানা গত কয়েক বছর ধরেই বিএনপির কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয়। পাশাপাশি টেলিভিশনে বিভিন্ন টক শোতেও তাকে নিয়মিত দেখা যায়।
সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি সংসদে গিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু মুক্তির জন্য কথা বলব। দেশ, জনগণের জন্য কথা বলব।”
সংরক্ষিত আসনে মনোয়ন দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, “আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে তা নিষ্ঠা, সততার সাথে পালন করতে আমি সচেষ্ট থাকব।”
মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে শেরেবাংলা নগরে গিয়ে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন বলে জানান রুমিন ফারহানা।
নির্বাচন কমিশনে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।