জাতীয় সংসদের চারটি শূন্য আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরুর আগে ঢাকার দুটি সংসদীয় আসনের চারজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার শুরুর আগে এ ঘটনা ঘটে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরুর আগে সমর্থকেরা হাতাহাতি ও মারামারিতে লিপ্ত হন। প্রথমে ঢাকা-৫ আসনের নবীউল্লাহ নবী ও সালাহউদ্দিন আহম্মেদের সমর্থকদের মারামারি হয়।
পরে ঢাকা-১৮ আসনে এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ও এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সমর্থকদের মধ্যেও এ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছেন।
বিএনপির মনোনয়ন পেতে ২৮ জন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে জানা গেছে। রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ চলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো আসনেই প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র ওপর হামলা: মালি রবিউল ইসলাম ৬ দিনের রিমান্ডে
এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ অভিযোগ করেন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের লোকজন তার সমর্থকদের মারধর করেছে। এতে ১০-১২জন কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তরখানের একটি স্কুলের শিক্ষক এরশাদ মাস্টার মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ও দক্ষিণ খানের ফায়দাবাদের বাসিন্দা নাজিমউদ্দিনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি চারটার দিকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করি। পরে শুনেছি কফিল উদ্দিন ঢোকার সময় সমর্থকদের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ভেতরে আমরা দু’জনেই একসঙ্গে ছিলাম। মারামারির ঘটনা তদন্ত করব। যেই অপরাধী হয়, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গুলশানের কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছাড়া কেউ ছিলেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎকার নেন।এসময় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য হিসেবে ছিলেন।