কোনো অভিযোগ থাকলে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাও ছাড় পাচ্ছে না দাবি করে বিএনপিসমর্থিত কেউ গ্রেপ্তার হলে অভিযোগ উঠে কেন তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারী বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেছেন, তাদের দলের নেতা-কর্মীদের নাকি গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে। আমি আগেও বলেছি, রাজনৈতিক কারণে কাকে কোথায় গ্রেপ্তার, হয়রানি করা হয়েছে বলুন।
“তাই বলে কী অপরাধীদের ধরা হবে না? অপরাধী-সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজের দলের লোকদেরকেও ছাড় দিচ্ছে না। আর বিএনপিসমর্থিত কোনো অপরাধী গ্রেফতার হলে অভিযোগ কেন?”
রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “যারা চট্রগ্রামের চিহ্নিত অপহরণকারী বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি, তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।”
অগাস্ট মাস এলেই আতঙ্ক বেড়ে যায় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এ দেশের মাটি বীরের বীরত্ব গাঁথায় উর্বর, আবার বিশ্বাসঘাতকতার নিকৃষ্ট নজিরও এখানে আছে। এখানে দেশ প্রেমের যেমন বিরল দৃষ্টান্ত আছে, ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্রের গন্ধও আছে। এদেশে ঘটনার আগে কিছু বোঝা যায় না।
“হঠাৎ করে চোখের পলকে ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছিল। ২১ আগস্টের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল কারা? কারা তখন ক্ষমতায় ছিল, বিএনপিই ছিল মাস্টারমাইন্ড। যারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে ঘুরানোর অপচেষ্টা করেছিল। তাদের মুখে হত্যার বিচার চাওয়া কি শোভা পায়?”
অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “করোনাভাইরাসের এ সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকা এবং বাসা বাড়িতে অবস্থান করায় শিশু-কিশোর এবং তরুণদের মানসিক চাপ বেড়েছে। সরকার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।
“ইতোমধ্যে অনলাইনে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকার যথাসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। আমি অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানাচ্ছি।”