এক বছর আগে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি যৌথ নেতৃত্বে চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এভাবে দল পরিচালনার মাধ্যমে খালেদা জিয়া মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনেও সফল হবেন বলে আশাবাদী তিনি।
খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খালেদা কারাগারে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন তার ছেলে তারেক।
দুর্নীতির দুটি এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় দণ্ডিত তারেক এক দশক ধরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। আপাতত তার দেশে ফেরার কোনো ইঙ্গিতও দেখা যাচ্ছে না।
ফখরুল বলেন, “আমরা আনন্দের সাথে বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর আমরা একটা যৌথ নেতৃত্ব গড়ে তুলেছি। সেই যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা সেই জনগণের কাছে যাচ্ছি।
“জনগণকে সাথে নিয়ে, জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে আজকে আমাদেরকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আসুন, আমরা একসাথে একটি গণআন্দোলন সৃষ্টি করি, যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।”
এই লক্ষ্য অর্জনে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “আজকে ছাত্র বলুন, তরুণ বলুন, যুবক বলুন, তাদের সবার ওপর মহান দায়িত্ব এসেছে। সেই দায়িত্ব হচ্ছে এদেশকে রক্ষা করবার জন্য, গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার জন্য, আমাদের গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রীকে মুক্ত করবার জন্য, তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
বর্তমানে দেশে সঙ্কট চলছে দাবি করে তিনি বলেন, “লক্ষ্য করলে দেখবেন, রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন থেকে শুরু করে এমনকি মিডিয়া পর্যন্ত এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।”
শ্রীলঙ্কায় হামলার নিন্দা
শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে এতে প্রায় তিনশ মানুষের প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল।
তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড, এই ধরনের টেরোরিস্ট এ্যাক্টিভিসকে আমরা নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ করি। এর বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ও বর্তমান ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাবেক আহবায়ক আবদুল খালেক হাওলাদার।
এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধূরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আনিসুর রহমান খান খোকন, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।
এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে বিএনপি মহাসচিব কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানকে দেখতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।