সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিসহ সাংবিধানিক পদাধারীদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ও সংশ্নিষ্ট আইন অনুযায়ী আগের মতো প্রটোকল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলসহ সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের বিষয়ে সংবাদ প্রচার-প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও সতর্ক করা হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে খুলনা সফরের সময় প্রটোকল দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. শাহীনুর রহমান এই রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী একরামুল হক টুটুল। তাকে সহযোগিতা করেন মামুন মাহবুব ও তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কিছু সংবাদমাধ্যম প্রটোকল নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চকে মিসকোট করে সংবাদ প্রচার করেছে। পরে একজন বিচারপতির সফর নিয়েও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সুপ্রিমকোর্ট এবং সাংবিধানিক পদাধিকারীর মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ‘রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ ভিআইপি নন’, হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের এই মন্তব্যকে কোন কোন গণমাধ্যমে আদালতের আদেশ বলে প্রচার করা হয়।
ওই মন্তব্যের সূত্র ধরে কয়েকটি অনলাইনে ‘হাইকোর্ট ডিঙ্গিয়ে প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি’ এ ধরনের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এমনকি সাংবিধানিক পদধারী ব্যক্তিদের প্রটোকল দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা দ্বিধাদ্বন্দে পড়েন।
এ অবস্থায় বুধবার হাইকোর্টে রিটের শুনানিতে আদালত বিষয়টি নিয়ে আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এক রায়ে বিচারপতিদের ভ্রমণ ও পরিদর্শনের ক্ষেত্রে প্রটোকল ব্যবস্থা নিয়ে কয়েক দফা নির্দেশনাও দেওয়া হয়।