বিত্তবানদের নিজ এলাকার অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবাই তাদের অসহায় প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়ালে এদেশকে দারিদ্রমুক্ত করা সম্ভব।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন মানুষকে ঘর উপহার দেওয়ার কর্মসূচির উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে গৃহহীন ১৬০ পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী এবং তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। আমরা বিজয়ী জাতি এবং বিজয়ী হয়েই বিশ্ব অঙ্গনে চলব। আমরা এ সম্মান অর্জন করেছি।’
মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার ঘরহারাদের ঘর উপহার দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন সরকারের সচিবরা। নিজস্ব অর্থায়নে ৮০ জন সচিবের নিজ নিজ এলাকায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করে দিলেন ১৬০টি বাড়ি। এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা নিজ নিজ স্কুলে পড়াশুনা করেছেন, সে স্কুলগুলোর উন্নয়নে কাজ করেন। অথবা যে গ্রামে বড় হয়েছে; সে গ্রামে যেকোন একজন মানুষকে সহযোগিতা করেন। এতে দেশে দারিদ্র থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৭৫ পরবর্তী সরকারের সমালোচনা করেন। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তার সরকারের নিরলস অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আগে আবারও দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের বিত্তবান লোকদের নিজ নিজ এলাকায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে সেই অঞ্চলের লোকেরা আরো উন্নত জীবন লাভ করতে পারবে। একা ভালো থাকা মোটেও মানবিকতা নয়।’ এ সময় সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষদের ঘর উপহার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, তবে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার এরই মধ্যে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করেছে এবং আরো হ্রাস করতে চায়। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তবে করোনাভাইরাসের কারণে এটি করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।’
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সরকার এখন সকলের পুষ্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও অন্যান্যের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। সরকার দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নিয়েছি।