করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে বিদেশি অতিথিরা আসছেন না। তারপরও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত সময়ে আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে। অধিবেশনে সংসদ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ওপর সাধারণ আলোচনায় সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা অংশ নিবেন।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও নূর-এ আলম চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন। এ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের স্পিকার, সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণিত হওয়ায় বিদেশি অতিথি আসছেন না বলে জানানো হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে মুজিববর্ষের ১৭ মার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও স্থগিত ঘোষণা করেছে। তবে বিদেশি অতিথিরা না আসলেও কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সংসদ অধিবেশন যথারীতি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির একাধিক সদস্য জানান, সংসদ অধিবেশন আহ্বান করে তা পেছানোর নজির নেই। যে কারণে বিদেশি অতিথিরা না আসলেও রাষ্ট্রপতির আহ্বান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ২২ মার্চ বেলা ১১টায় অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সংসদ সদস্যরা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর অধিবেশনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর উপর রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ভাষণ দিবেন। এ ছাড়া কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭-এর আওতায় বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর সংসদ সদস্যরা সাধারণ আলোচনায় অংশ নিবেন। অধিবেশনের দু’দিনে মোট ১২ ঘণ্টা আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সংসদের বিশেষ অধিবেশনকে ঘিরে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণপ্লাজায় প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। সংসদ ভবনে সাজসজ্জার কাজ চলছে। প্রকাশনার কাজও শেষ পর্যায়ে। অধিবেশনের বক্তাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিবেশনে উপস্থিত থাকার জন্য জাতীয় সংসদ থেকে সকল সদস্যের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।