বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য বিশাল সঞ্চালন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। এজন্য তারা ৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকার ১১টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সূত্রমতে, ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে সবগুলো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। উল্লেখিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ভারতের ঝাড়খ- থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর থেকে মনাকষা সীমান্ত পর্যন্ত ৪শ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০২১। চট্টগ্রাম বিভাগের দক্ষিণাঞ্চল এবং বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। ২০২২ এর জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রীড সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ প্রকল্প, টার্গেট জুন ২০২৪। বিদ্যমান গ্রীড উপকেন্দ্র এবং সঞ্চালন লাইনে সংস্কার ও ক্ষমতা বর্ধন প্রকল্প, টার্গেট ডিসেম্বর ২০২২।
এক্সপানসন এন্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক প্রকল্প, টার্গেট ডিসেম্বর ২০২৪।
অন্য প্রকল্পগুলো হলো- বাঁশখালী-মদুনঘাট ৪শ কেভি সঞ্চলন লাইন নির্মাণ প্রকল্প টার্গেট জুন ২০২২। মদুনাঘাট-মহেশখালী ৭৬৫ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প, টার্গেট জুন ২০২৩। মদুনঘাট-ভুলতা ৭৬৫ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প, টার্গেট জুন ২০২৪। পায়রা গোপালগঞ্জ আমিন বাজার ৪শ কেভি সঞ্চলন লাইন প্রকল্প, টার্গেট ডিসেম্বর ২০২২। এনার্জি ইফিসিয়েন্সি ইন গ্রীড বেইজড পাওয়ার সাপ্লাই-২ প্রকল্প, টার্গেট জুন ২০২৪ এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত সক্ষমতা উন্নয়ন প্রকল্প, টার্গেট জুন ২০২৩।
পিজিসিবি ইতিমধ্যেই এ ধরণের তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ভেড়ামারায় বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের ৫শ মেগাওয়াট এইচভিডিসি স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প, রাঙামাটি জেলায় ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপ-কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এবং শরীয়তপুর জেলায় ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৮ থেকে চলতি বছরের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়।
বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২ হাজার ৮২৩ মেগাওয়াট। পিজিসিবি দাবি করেছে, তাদের সঞ্চালন ক্ষমতা ১৮ হাজার মেগাওয়াট। পিজিসিবি’র সহকারী ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম বদরুদ্দোজা খান আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, মূলত যে কোন বিপর্যয় মোকাবেলা করার জন্যই বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্ষমতা উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে বেশী রাখা হয়। তিনি বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখেই নতুন ১১টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের বিদ্যুৎ সঞ্চালনে কোনও সমস্যা হবে না।