একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের কার্যানির্বাহী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“আমরা সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলেছি। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল একেবারেই কম। এগুলো নিয়ে এতদিন আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। যারা নির্বাচন শেষ পর্যন্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নিতে শুরু করব। নেত্রী দেশে ফিরে আসলে এই বিষয়ে আলাপ আলোচনা করব।”
টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর বর্তমানে আবু ধাবিতে রয়েছেন শেখ হাসিনা। ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তার।
একাদশ নির্বাচনে কতজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সো ফার আমরা দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছি। নেত্রী এলেই আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”
তিনি বলেন, “উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তা খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাদের প্রার্থীতা আমরা রাখব না। বিকল্প প্রার্থী দেব।”
উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত ব্রেক করা মানেই হল দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা। এর একটা শাস্তি তো রয়েছে। পরবর্তী মিটিংয়ে শাস্তিটা কি হবে এটা নির্ধারণ হবে।”
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী নতুন নামে মাঠে আসার পরিকল্পনা করছে- বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, “‘নতুন বোতলে পুরাতন পানীয়’ এমন যদি হয়, নাম পরিবর্তন করবে কিন্তু আদর্শ একই এবং অটুট থাকবে তাহলে সেটা পরিবর্তন কি? নাম পরিবর্তন করলে কিন্তু নীতি আদর্শ পরিবর্তন করলেন না, তাহলে পরিবর্তন কি হল?। এটাকে পরিবর্তন বলা চলে না।”
এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার উপযুক্ত সময় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা সবসময়কে উপযুক্ত সময় মনে করি। এখানে আদালতের একটা সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে সেটাকে তো আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।”
সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা।