২৬ ডিসেম্বর সিলেট টাইটান্স–রাজশাহী ওয়ারিয়র্স এবং চট্টগ্রাম রয়্যালস–নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসরের। নতুন আসরকে আসরকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে ধারাভাষ্য ও উপস্থাপনা দলে বেশ কিছু চমক এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
উপস্থাপিকাদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের জয়নব আব্বাস এবং ভারতের রিধিমা পাঠক। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিসিবি নিজেদের ফেসবুক পেজে পৃথক দুটি ভিডিওর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে। জয়নব আব্বাস কিছু ম্যাচে ধারাভাষ্যও দিতে পারেন।
ধারাভাষ্য টিমে থাকছেন দেশ-বিদেশের পরিচিত বেশ কয়েকজন মুখ। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা এবং ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ড্যারেন গফ ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছেন। আইএল টি-টোয়েন্টি শেষ করে ৫ জানুয়ারি যোগ দেবেন মার্ক নিকোলাস মরিসন।
প্রথমবারের মতো বিপিএলে ধারাভাষ্য দিতে আসছেন ওয়াকার ইউনুস। এছাড়া শ্রীলঙ্কার এক সাবেক পেসার পারভেজ মাহরুফ, অস্ট্রেলিয়ার জেমি কক্স এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যামুয়েল বদ্রিকেও দেখা যাবে ধারাভাষ্যে।
বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে থাকছেন আতহার আলী খান, শামীম আশরাফ চৌধুরি, মাজহার উদ্দিন অমি এবং সমন্বয় ঘোষ। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানায়, এখন পর্যন্ত মোট ১১ জন ধারাভাষ্যকারকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
৩৪ ম্যাচের এ বিপিএল শুরু হবে সিলেটের মাঠ থেকে। সিলেট ও চট্টগ্রামে সমান ১২টি করে ম্যাচ হবে। বাকিগুলো—এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালসহ ১০টি ম্যাচ—ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায়, আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি।
বিপিএলে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন পাকিস্তানের ৯ ক্রিকেটার
বিপিএলে সবসময়ই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। আসন্ন আসরেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ২০২৫-২৬ মৌসুমের দ্বাদশ বিপিএলের পর্দা উঠবে ২৬ ডিসেম্বর। আর এই আসরে অংশ নিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) মোট ৯ জন খেলোয়াড়কে এনওসি প্রদান করেছে।
চলতি আসরে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি মোট ১৫ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনকে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, আর বাকি চারজনকে নেওয়া হয়েছে নিলাম থেকে।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস বিদেশি খেলোয়াড়দের ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে ইহসানুল্লাহ ও হায়দার আলিকে দলে ভিড়িয়েছে। একই ক্যাটাগরির জাহানদাদ খানকে ২০ হাজার মার্কিন ডলারে নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। রংপুর রাইডার্স ১০ হাজার ডলারে ‘ডি’ ক্যাটাগরি থেকে মোহাম্মদ আখলাককে দলে টেনেছে।
পিসিবি যে ৯ জন খেলোয়াড়কে বিপিএলে খেলতে ছাড়পত্র দিয়েছে তারা হলেন: মোহাম্মদ নাওয়াজ, হুসেইন তালাত, ইহসানুল্লাহ, হায়দার আলি, আবরার আহমেদ, খাজা নাফে, সালমান ইরশাদ, ফাহিম আশরাফ এবং সাহিবজাদা ফারহান।
এবারের বিপিএলে যেসব পাকিস্তানি ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন: সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ আমির, আবরার আহমেদ, উসমান খান, খাজা নাফে, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, সুফিয়ান মুকিম, আকিফ জাভেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, সাহিবজাদা ফারহান, ইহসানুল্লাহ, হায়দার আলি, মোহাম্মদ আখলাক এবং জাহানদাদ খান।
বিপিএলে রেকর্ড পারিশ্রমিক পেয়েছেন বিদেশি যেসব তারকা
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর। ইতোমধ্যে প্লেয়ার বেচা-কেনার অনুষ্ঠান নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। নিলামে সবচেয়ে বেশি মূল্য পেয়েছেন গত আসরে সর্বোচ্চ রান করা বাংলাদেশ দলের অনিয়মিত তারকা নাঈম শেখ।
আজ আমরা জানার চেষ্টা করব ২০১২ সাল থেকে গত ১১টি আসরে বিদেশি যেসব তারকা বিপিএলে অংশ নিয়ে রেকর্ড পারিশ্রমিক পেয়েছেন।
১. শহীদ আফ্রিদি : ২০১২ সালের আসরে ৭ লাখ ডলারে শহীদ আফ্রিদিকে দলে নিয়েছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। বিপিএলের ইতিহাসে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি।
২. ক্রিস গেইল : ২০১২ সালের আসরে ৫ লাখ ৫১ হাজার ডলারে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলকে দলে টানে বরিশাল বার্নার্স।
৩. মারলন স্যামুয়েলস : ২০১২ সালের বিপিএলে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসকে দলে নেয় দুরন্ত রাজশাহী।
৪. কাইরন পোলার্ড : ২০১২ সালের বিপিএলে ৩ লাখ ডলারে কাইরন পোলার্ডকে দলে টানে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
৫. ইমরান নাজির : ২০১৩ সালের আসরে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলারে পাকিস্তানের তারকা ওপেনার ইমরান নাজিরকে দলে টানে চিটাগং কিংস।
৬. শহীদ আফ্রিদি : ২০১৩ সালের টুর্নামেন্টে ২ লাখ ৭৫ হাজার ডলারে শহীদ আফ্রিদিকে দলে নিয়েছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
৭. আজহার মাহমুদ : ২০১৩ সালে নিলাম থেকে ২ লাখ ৬ হাজার ডলার দিয়ে আজহার মাহমুদকে দলে নেয় বরিশাল বার্নার্স।
৮-৯. শোয়েব মালিক এবং ডোয়াইন ব্রাভো : ২০১২ সালের নিলামে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দল পান শোয়েব মালিক এবং ডোয়াইন ব্রাভো। দুজনকেই দলে নেয় চিটাগং কিংস।
১০. ব্র্যাড হজ : ২০১২ সালের আসরে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে ব্র্যাড হজকে দলে টানে বরিশাল বার্নার্স।





