নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আবদুর রহিম ও রহমত উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশতাক আহমেদ দুই মামলায় প্রত্যেক আসামির সাত দিন রিমান্ড চান। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হক তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে একদল যুবক। মোবাইল ফোনে সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে তারা। নির্যাতনের পর গৃহবধূ ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
ঘটনার এক মাস পর রোববার দুপুরে নির্যাতনের ওই ভিডিও কেউ একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে (ভাইরাল) পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও তৎপর হয়ে ওঠে। পুলিশ জানতে পারে, স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বাদল এবং কর্মী রহিম, সুমনসহ পাঁচ-ছয়জন গৃহবধূর সঙ্গে এমন বর্বর আচরণ করেছে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রিমান্ড মঞ্জুর হয় আবদুর রহিম ও রহমত উল্লাহর। এছাড়া দুই আসামিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। এর মধ্যে একজন দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন (২৬)।