এ বছর বিবিসি’র প্রকাশ করা বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি।
করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে পরিবর্তন আনতে নেতৃত্ব দেওয়া এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভিন্নধর্মী অবদানের ভিত্তিতে তৈরি করা এ তালিকায় দুই বাংলাদেশি নারী হচ্ছেন রিনা আক্তার ও রিমা সুলতানা।
তালিকায় রিনা আক্তার রয়েছেন ৬ নম্বরে। বিবিসি জানায়, করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে ঢাকায় চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়া অন্তত চারশ’ যৌনকর্মীকে প্রতি সপ্তাহে ভাত, সবজি, ডিম ও মাংস সরবরাহ করেছেন রিনা ও তার দল।
রিনা নিজেও এ পেশায় ছিলেন। এ সম্পর্কে বিবিসি’কে তিনি বলেছেন, “লোকজন আমাদের পেশাকে খাটো করে দেখে, কিন্তু আমরা একাজ করি খাবার কেনার জন্য। আমি চেষ্টা করছি যাতে এ পেশার কেউ অনাহারে না থাকে এবং তাদের বাচ্চাদের যেন একাজ করতে না হয়।”
তালিকায় আরেক বাংলাদেশি নারী হচ্ছেন রিমা সুলতানা রিমু। তিনি একজন শিক্ষক এবং ‘কক্সবাজার ইয়াং উইমেন লিডারস ফর পিস’ এর সদস্য। এ কর্মসূচি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স এর অংশ।
এছাড়া, বেতার সম্প্রচার এবং থিয়েটারের মাধ্যমে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করেছেন রিমা।
বিবিসি-কে তিনি বলেছেন, “আমি বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা আনতে সংকল্পবদ্ধ। অধিকার আদায়ের জন্য নারী শক্তিতে আমি বিশ্বাস করি।আমরা সফল হব।”
করোনাভাইরাস কবলিত বিশ্বে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে লড়াই করে যাওয়া এমন ১শ’ নারীকে বেছে নিয়েই তাদেরকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিবিসি। যাদেরকে বলা হচ্ছে ‘আনসাং হিরো’।
তালিকায় অন্যান্যদের মধ্যে আছেন, ফিনল্যান্ডের নারী-সর্বস্ব কোয়ালিশন সরকারের প্রধান স্যান্না ম্যারিন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাস টিকা গবেষণা দলের প্রধান সারাহ গিলবার্ট, জলবায়ু কর্মী ও অভিনেত্রী জেন ফন্ডা।
পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দারিদ্র বিমোচন বিষয়ক বিশেষ সহকারী সানিয়া নিশতার, ভারতের নাগরিকত্ব আইনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিলকিস বানু।
ইথিওপিয়ার ফুটবলার লোজা আবেরা জেইনোরে, মরক্কোর র্যাপার হুদা আবুজ, ভারতের আরও তিনজন। এছাড়া, আফগানিস্তান, নেপাল, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারসহ বিশ্বজুড়ে আরও নানা দেশের নারীরা স্থান পেয়েছেন এ তালিকায়।