বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করেছেন, নিজেদের মধ্যে এই ‘বিভাজন নিয়ে’ কীভাবে তারা শিরদাঁড়া উঁচু করে দাঁড়াবেন।
হতাশ না হয়ে সব বাধা পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় একথা বললেন ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “আন্দোলন করে শিরদাঁড়া উঁচু করে দুঃশাসনের অবসান করবেন? শিরদাঁড়া উচু করতে হলে নিজেদের কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। যেখানে তাদের নেতৃত্বই বিভাজিত তারা কেমন করে শিরদাঁড়া উঁচু করবেন?
“তাদের নেতৃত্ব-মহাসচিব একদিকে সংসদে না যোগ দিয়ে আসনটি শূন্য করেন। আবার ওই আসনের উপ-নির্বাচনে তারা নতুন করে প্রার্থী দেয়। আবার মহিলা আসনের প্রার্থী দেয়।”
বুধবার দলীয় ইফতার অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, “আমাদের অনেকে আজ হতাশায় ভুগছেন। আমি মনে করি, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নাই। হতাশা কখনও আমাদেরকে লক্ষ্যে পৌঁছাবে না।
“সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে আমাদেরকে শিরদাঁড়া সোজা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর ছুঁয়ে দলটির নেতাকর্মীদের খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের।
তিনি বলেন, “বিএনপির আন্দোলন মুখে শুনেছি, বাস্তবে দেখিনি। এটা তো বার বার শুনে আসছি। তারা বার বার শপথ নিচ্ছেন; মুক্ত করুন।
“ভবিষ্যতে আন্দোলন করার শপথ মুখে নিলেই হবে না, আন্দোলনের শপথ কীভাবে নিলেন এটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আর আন্দোলন রাজনৈতিক হলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব।”
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগোনোর পরামর্শ দিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আইনি প্রক্রিয়ায় লড়তে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ তারা নিতেই পারে। সেখানে আমাদের আপত্তি বা বাধা থাকবে না।”