নভেল করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিতের সময় আরো এক সপ্তাহের জন্য বাড়িয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আগে এই সময়সীমা ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত, যা বাড়িয়ে ৭ এপ্রিল করা হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিতের সময়সীমা ৪ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ৭ এপ্রিল করা হয়েছে।
আজ শনিবার বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহনের (শিডিউল প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট) ক্ষেত্রে বিমান চলাচল নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চের পরিবর্তে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিমান চলাচল নিষেধাজ্ঞা ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বিশেষ ফ্লাইট ও কার্গো ফ্লাইট যথারীতি চলবে।’
এর আগে গত ২১ মার্চ নভেল করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে ইংল্যান্ড, চীন, হংকং ও ব্যাংকক ছাড়া ১০ দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ। দেশগুলো হলো কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত। এ ছাড়া কিছু দেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত করে। এ ছাড়া ইউরোপের সঙ্গেও সব ধরনের বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়।
সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সেখানে ৩০ মার্চ থেকে সাত দিনের জন্য তাদের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। চীনের সঙ্গে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। হংকং ও থাইল্যান্ড রুটে যাত্রীস্বল্পতার কারণে এয়ারলাইনসগুলো তাদের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ফলে কার্যত চীনের সঙ্গে ফ্লাইট চালু আছে। দেশীয় এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে সপ্তাহের রবিবার মাত্র এক দিন ফ্লাইট চালাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।