বিমানের উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে বিশেষ যত্নবান হতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে সোনারগাঁও হোটেলে ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট সেফটি সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে সংগৃহীত এই মূল্যবান বিমানের নিরাপদ উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে আপনাদের সবাইকে যত্নবান হতে হবে। মনে রাখবেন, পেশাগত দক্ষতা ও সততার কোনো বিকল্প নেই। আর দেশের মান-মর্যাদাও এর সঙ্গে জড়তি। খবর বাসসের।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিমান ভ্রমণ আরও নিরাপদ, আরামদায়ক ও সহজতর করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এর অংশ হিসেবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন টার্মিনাল হওয়ার পর বছরে প্রায় ১২০ কোটি যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদশের ভৌগলিক অবস্থানের কথা মাথায় রেখেই বিমানবন্দরগুলোকে উন্নত করতে চাই। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অধিকতর যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার পরিকল্পনাও আমরা হাতে নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, নেপাল, ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলি ও লাগোয়া ভারতের প্রদেশগুলির ব্যবহারের জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরটিকে ‘আঞ্চলিক বিমানবন্দর’ গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে আমরা তার কার্যক্রম শুরু করেছি।
বাংলাদেশ বিমানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানি থেকে নতুন ১০টি ৭৭৭, ৭৮৭, ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ কেনার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, অত্যাধুনিক এই উড়োজাহাজগুলো দিয়ে আমরা নিউইর্য়ক, টরেন্টো ও সিডনির মত দূরবর্তী গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারব। এ ব্যাপারে আমরা আগ্রহী। এই লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীতকরণের কাজ এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এভিয়েশন সেক্টরের মান উন্নয়নের জন্য বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশের বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমানের ‘ফ্লাইট সেফটি’ রেকর্ড অত্যন্ত সন্তোষজনক।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশে বিমানবাহিনী আয়োজিত তিনদিনের এ সেমিনারে চারটি মহাদেশের ১৬টি দেশের বিমান বাহিনীর সদস্য ও আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির (আইসিএও) প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট সেইফটি সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বিমান বাহিনী প্রধান।
অনুষ্ঠানে বেসমারিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো মাহবুব আলী, বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।