করোনা প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতির মধ্যে সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন বিশেষ ব্যবস্থায় চালু রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উদ্যোগে সিরাজগঞ্জ শিল্পনগরীতে বন্ধের পথে থাকা কারখানাটিতে উৎপাদন চলছে। করোনা থেকে সুরক্ষার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সাবান। এ পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে বিসিক এ উদ্যোগ নিয়েছে।
বিসিক সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে ১০ থেকে ১১টি প্রতিষ্ঠান সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করে থাকে। এগুলোর মধ্যে উত্তরবঙ্গে একমাত্র বিসিক শিল্পনগরী, সিরাজগঞ্জে অবস্থিত জেবুন্নিসা কেমিক্যালস লিমিটে সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কারখানাটি চালু রেখে বগুড়া,রংপুর, দিনাজপুর,সৈয়দপুর,ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ ওই এলাকার জেলাগুলোতে সাবান তৈরির কারখানাগুলোতে সোডিয়াম সিলিকেট সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিসিক শিল্পনগরী, সিরাজঞ্জের শিল্পনগরী কর্মকর্তা জয় প্রকাশ বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে এক মাসে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করেছে জেবুন্নিসা কেমিক্যালস, যার মূল্য ৮০ লাখ টাকা।
বিসিকের শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে কারখানাটি স্বল্প পরিসরে চলছে। বর্তমানে জেবুন্নিসা কেমিক্যালস দৈনিক ১৫ মেট্রিক টন সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পূর্বে কারখানটি প্রতিদিন প্রায় ৩০ মেট্রিক টন সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করতো। বর্তমানে করোনাসংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানাটিতে ৩৬ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জেবুন্নিসা কেমিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. আজিম সিদ্দিকী জানান, করোনাজনিত পরিস্থিতির কারণে ২এপ্রিল কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে শিল্পনগরী কর্মকর্তা ও বিসিক কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় ১৬ এপ্রিল থেকে কারখানাটি পুনরায় চালু করা হয়।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই বিসিক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে কারখানাটি চালু করা হয়েছে। কারখানাটি বছরে প্রায় ১৭ কোটি টাকা মূল্যের সিলিকেট উৎপাদন করে থাকে বলে আজিম সিদ্দিকী জানান।