বিশ্বকাপ ম্যাচ পরিচালনা করা জার্সিটি নিলামে তুলতে চান মান্নান

image-151054-1589209946

মানুষ মানুষের জন্যে.. কথাটি হয়তো এখনও পুরোপুরি মিথ্যা হয়ে যায়নি। ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাসে সারা পৃথিবী আজ দিশেহারা। লাখ লাখ মানুষ মরেছে ইতোমধ্যে। সামনে কি অপেক্ষা করছে তা কারও পক্ষে বলা বড়ই কঠিন। এমন মহামারি পরিস্থিতিতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অনেক মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দিকে।

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক বিখ্যাত খেলোয়াড়রা মানুষের সাহায্যের জন্য নিলামে তুলেছেন প্রিয় ও স্মরণীয় ব্যাট, বল, জার্সি সহ আরো কত কি।এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চান বাংলাদেশের স্বনামধন্য কাবাডি রেফারী এসএম আব্দুল মান্নান। নিলামে তুলতে চান সবশেষ ২০১৬ সালে ভারতের গুজরাট প্রদেশের আহাম্মেদাবাদে অনুষ্ঠিত ৩য় বিশ্বকাপ কাবাডির ওপেনিং ও স্বাগতিক ভারত বনাম ইরানের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচসহ মোট ৯টি খেলা পরিচালনা করা সেই জার্সিটি।

জার্সি নিলামে তোলা প্রসঙ্গে রেফারী মান্নান বলেন, করোনা ভাইরাসে আমাদের দেশের অসংখ্য গরীব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রিকেটারদের ব্যাট, মোনেম মুন্নার জার্সি ও ফুটবল রেফারী তৈয়ব ভাইয়ের রেফারিং জার্সিও নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তাই আমিও ভাবলাম আমার জার্সিটি তো বিশ্বকাপ এর মত বড় আসরের খেলা পরিচালনা করা জার্সি। এটি বাসায় স্ব-যত্নে রাখা আছে। কিছুদিন পর হয়তো আমি থাকবো না। তখন এই জার্সি থেকে কি লাভ?

তাই এমন কঠিন পরিস্থিতিতে যদি জার্সি বিক্রির পুরো অর্থটা অসহায় মানুষের কাজে লাগানো যেত তাহলে খুব ভাল হতো। আশা করি অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় নিলামে তোলা আমার এ জার্সিটি কেনার জন্য সমাজের বিত্তবান মহান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন।

বিশ্বকাপ এ কাবাডি আসরে বাংলাদেশের রেফারী মান্নান “রেফারী অব দ্য টুর্নামেন্ট” নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জল করেন। এশিয়ান গেমসে মোট ১০টি ম্যাচ রেফারী হিসেবে পরিচালনা করেন। ২০১৭ সালে জনপ্রিয় প্রো কাবাডি আসরে ৭টি খেলা পরিচালনা করেন এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সংযু মার্শাল আট চ্যাম্পিয়নশিপে অন্তর্ভুক্ত কাবাডি ডিসিপ্লিনের ছেলে ও মেয়েদের মোট ১১টি খেলা পরিচালনা করেন দেশের এ কাবাডি রেফারী।

Pin It