সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় দু’টির খসড়া ও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। শেষের বিশ্ববিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে হবে বলে জানা গেছে।
তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভায় বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম পরিবর্তন করতে পারবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া সভায় ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৯’ অনুমোদন হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম পরিবর্তন বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনটি ছিল ২০০৩ সালের। তাতে একটা ধারা ছিল, কমিশনের নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না, যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনো পরিবর্তন ঘটে।
তিনি বলেন, ‘সংশোধিত আইনে এটাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। কমিশন নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে কমিশনের একক বা পৃথক পৃথক আদেশ দ্বারা, প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করতে পারবে। সংশোধিত আইনে শুধু এইটুকুই পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যান্য বিধান বহাল আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিইআরসি দেখছে অনেক সময়ই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম পরিবর্তন করা প্রয়োজন হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবর্তন হলে তখন পরিবর্তন করা হবে। আগের আইনে বিষয়টি অনমনীয় ছিল, এখন সহনীয় করা হলো। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিইআরসি দাম বাড়াতে পারবে, কমাতেও পারবে।
অবৈধ মৎস্য শিকারে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড: সমুদ্রে অবৈধভাবে মৎস্য শিকার করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সমুদ্রে কোনো বিদেশি নৌযান বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মৎস্য শিকার করলে তাদেরও একই শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এমন বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৯’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই অপরাধের আগের শাস্তি ছিল এক লাখ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড।
প্রধানমন্ত্রীকে ‘এশিয়ান টাউনস্কেপ জুরিস অ্যাওয়ার্ড’ :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ‘এশিয়ান টাউনস্কেপ জুরিস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন। বাস্তবায়নাধীন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পটির জন্য তিনি এ পুরস্কার অর্জন করেন। গৃহায়ন এবং গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দোকার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই এই সম্মাননা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
হংকংভিত্তিক ‘দি অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ডস্কেপ কনসালট্যান্ট’ গত ২৩ নভেম্বর হংকংয়ের টেকনোলজিক্যাল অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন ইনস্টিটিউটে এ পুরস্কার প্রদান করে।
