বিসিএসের মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ কেন নয়

image-131051-1581864592

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিসিএস) মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের বয়স ৩২ বছর কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনস (পিএসসি), জনপ্রশাসনসহ সংশ্নিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

৩০ বছর পার হয়ে যাওয়ায় বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত বিজিত শিকদারসহ পাঁচ শিক্ষার্থী গত ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করেন। রিটে বিসিএসের মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশের বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদন সংক্রান্ত পিএসসির বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

এই বিধিতে বলা আছে, যারা সাধারণ বিসিএস ক্যাডারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তারা ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারবে। অথচ বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজিএস) পরীক্ষায় ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ওই ১৪ উপবিধি অনুসারে শিক্ষা ক্যাডারেও ৩২ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় প্রার্থীরা ৩২ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ সাধারণ বিসিএসে অংশগ্রহণকারী ৩০ বছর পর্যন্ত সুযোগ পান। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংর্ঘষিক। তাই চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত হয় সেজন্য রিটটি করা হয়।

উল্লেখ্য, বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে করা এই রিটটি গত ২৭ জানুয়ারি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চও দাখিল করা হয়েছিল। পরে ওইদিনই রিটটি আবেদনটি হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা বা কমিয়ে আনা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।’ এ প্রেক্ষিতে রিটকারীরা নতুন করে বিচারপতি তারিক-উল হাকিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন।

১৬৫০ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ আটকে গেল হাইকোর্টে

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে ১৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের ফলাফলে স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) ও অতিসত্ত্বর উকিল নোটিশের উত্তর এবং কেন অবৈধ নয় সেই রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে এই নিয়োগ কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত থাকবে।
এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেয়।আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু।

২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

জাতীয় দিবসে ইংরেজির পাশে বাংলা তারিখ ব্যবহারে রুল

 ২১ ফেব্রুয়ারিসহ সকল জাতীয় দিবসে ইংরেজি তারিখের পাশাপাশি বাংলা তারিখ ব্যবহারের পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন চূয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার উপজেলার বাসিন্দা মো.নস্কর আলী।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন। তিনি জানান, জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে বাংলা তারিখ উপেক্ষিত থাকে। এ কারণে রিট করা হয়। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে ২১ ফেব্রুয়ারিসহ সকল জাতীয় দিবসে ইংরেজি তারিখের পাশাপাশি বাংলা তারিখ ব্যবহারে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Pin It