আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হলো ১৩ দফা দাবি। ইতিমধ্যে এই ১৩ দফা দাবি সম্বলিত একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান-২ এর সিক্স সিজন হোটেলে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের দাবির কথা তুলে ধরেন তাদের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দাবি নিয়ে আলোচনায় আজই বিসিবির সঙ্গে বসতে রাজি ক্রিকেটাররা। এমনকি রাতেই যেতে চান বিসিবিতে। দাবি পূরণ হলে সব ধরনের নিয়মিত কার্যক্রমেই অংশ নেবেন তারা।
দাবিগুলো হলো,
১. ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের বর্তমান কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে হবে। আগামীতে একটি প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গঠন করতে হবে। ক্রিকেটারদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষায় এই সংগঠন ও এর কর্মকর্তারা কাজ করবে।
২. ঢাকা ক্রিকেট লিগগুলোকে আগের প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নিতে হবে। প্লেয়ার ড্রাফটের মাধ্যমে লিগগুলোর ক্রিকেটারদের দল ও মূল্য নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্ষেত্রেও আগামী বছর একই ব্যবস্থায় ফিরে আসতে হবে।
৩. বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বিদেশি ক্রিকেটার ও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের মধ্যকার বৈষম্য থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৪. প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি নূন্যতম ১ লাখ টাকা করতে হবে। একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াতে হবে।
৫. ১২ মাস কোচ-ফিজিও দিতে হবে, প্রতি বিভাগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. জাতীয় দলে চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা অন্তত ৩০ করতে হবে।
৭. দেশি সব স্টাফদের বেতন বাড়াতে হবে। কোচ থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ, আম্পায়ার সবার বেতন বাড়াতে হবে।
৮. দেশিয় টুর্নামেন্ট ও ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৯. ঘরোয়া ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত হতে হবে এবং মানতে হবে।
১০. ক্রিকেটারদের সব ধরনের পাওনাদি সময়মতো দিতে হবে।
১১. একজন দেশি ক্রিকেটার বছরে দুটোর বেশি ফ্রানচাইজে খেলতে পারবে না, এমন নিয়ম বাদ দিতে হবে। তবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে একটি সীমা থাকতে পারে।
১২. ক্রিকেট বোর্ডের লভ্যাংশের একটি ন্যায্য অংশ ক্রিকেটারদের দিতে হবে।
১৩. দেশের নারী ক্রিকেট দলের জন্যও একই ব্যবস্থা নিতে হবে।