আসন্ন বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সম্প্রতি আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন শতাধিক সংসদ সদস্য। এছাড়াও উভয় দফতরে জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র এবং জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিদের পক্ষ থেকে তিন শতাধিক অনুরোধ পত্র পাঠানো হয়েছে।
লাখো শ্রমিকের একমাত্র কর্মসংস্থান রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এসব পত্র দিয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিও লেটারে সংসদ সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, বিড়ি শিল্প দেশের একটি প্রাচীন শ্রমঘন কুটির শিল্প। এই শিল্প রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলোতে অধিকাংশ শ্রমিকই নারী। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এসব শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে।
এছাড়াও বর্তমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে গেলেও শ্রমিকদের বেতন ভাতা দিতে হচ্ছে। দেশের লাখ লাখ গ্রামীণ দরিদ্র বিড়ি শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার স্বার্থে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির পরিবর্তে কমানোর সুপারিশ করছি।
ডিও লেটার পাঠানোর তালিকায় রয়েছেন, জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাসরিন জাহার রত্না, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহবুবুর রহমান ডাবলু, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, বগুড়ার ধুনট পৌর মেয়র এজিএম বাদশাহ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন ও রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া প্রমুখ।
