নিজের পছন্দ অথবা পারিবারিকভাবে যেভাবেই বিয়ে হোক, সঙ্গীর সঙ্গে কিছু বিষয় খোলামেলা কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন।
এতে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কে সমস্যা কম দেখা দেয়।
ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অবলম্বনে প্রয়োজনীয় ও প্রচলিত কিছু বিষয় সম্পর্কে জানানো হল যা বিয়েতে সম্মতি দেওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো, এতে দাম্পত্য কলহ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
আর্থিক বিষয়: বিয়ের আগে আর্থিক বিষয়ে কথা বলা অনেকের কাছেই খারাপ বলে গণ্য হয়, অন্যদিকে এটা ভবিষ্যত জীবনে চলার পথের গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। একে অপরের খরচের অভ্যাস সম্পর্কে জানলে ভবিষ্যত সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
সন্তান গ্রহণ সম্পর্কে মতামত: একসঙ্গে জীবন শুরু করার আগে সন্তানসন্ততি নিয়ে সঙ্গীর মতামত কী সে সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা আছে কিনা অথবা কয়টা সন্তান গ্রহণে আগ্রহী ইত্যাদি বিষয়গুলো বিয়ে ঠিক হওয়ার আগে আলোচলা করে নিলে পরে দাম্পত্যে কলহ দেখা দেয় না।
দাম্পত্য সম্পর্কে পরিকল্পনা: বিবাহিত জীবনে সহবাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই সম্পর্কে সঙ্গীর ইচ্ছা বা মতামত জানতে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করে নিয়ে অপ্রয়োজনীয় সমস্যার অবসান ঘটানো সহজ হয়।
একক বা একান্নবর্তী পরিবার সম্পর্কে মতামত: বিয়ের পরে সঙ্গী একক পরিবার গঠনে আগ্রহী না-কি বাবা মা-সহ একসঙ্গে থাকতে চায় সে বিষয়ে ধারণা রাখা প্রয়োজন। সঙ্গী দেবতা নয় যে মনের কথা না বলতেই বুঝে যাবে তাই তার সঙ্গে বিয়ের আগেই এসব বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বললে পরে সংসার ভাঙার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা: সঙ্গীর কেবল বর্তমান অবস্থানের ওপর বিবেচনা না করে তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। এতে করে একে অপরের মাঝে বোঝাপড়া ভালো হয়। আর ভবিষ্যত সম্পর্কে পরিকল্পনা করা সহজ হয়। অন্যথায় ছোটখাটো বিষয়ে মনোমালিন্য বড় রূপ ধারণ করতে পারে।
যদিও বিয়ে দুইজন ব্যক্তির মধ্যকার বোঝাপড়ার ব্যাপার। এখানে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মই শতভাগ কার্যকর হয় না। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব বিষয় ঝামেলা সৃষ্টির মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং চাইলেই তা বোঝাপড়ার মাধ্যমে অনেকক্ষেত্রে কমিয়ে আনা সম্ভব।