রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা মো. জসিম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মো. তাহের(৪৮) নামের একজনকে আসামি করে জিডি করেন। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ফার্স্ট গেট থেকে ঐ আসামিকে পুলিশ আটক করে।
আটককৃত মো. তাহের মোহাম্মদপুর এলাকার হুমায়ূন রোডের বাসিন্দা। ভুক্তভোগীর পরিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম পাড়া বস্তিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়া থাকেন।
ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ সাক্ষী বিশ্ববিদ্যালয়ের চামেলি ভবনের গার্ড আবু তালেব বাচ্চু জানান, রবিবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে গাছ পরিষ্কার করার সময় তাহেরকে ওই কিশোরীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পেছনে টিন ঘেরা জায়গায় যেতে দেখি। আমার সন্দেহ হওয়ায় সেখানে গিয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখি। এসময় তাহের আমার পা জড়িয়ে ধরে। আমি তখন নিরাপত্তা কর্মী আরিফ ভাইকে বলি কিন্তু তখন ও পালিয়ে যায়।’
ভুক্তভোগীর পিতা মো. জসিম বলেন, আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারে না। চামেলি ভবনের গার্ড বাচ্চু আমাকে জানানোর পরে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছি। পুলিশ এসে তাহেরকে আটক করেছে।’
শেরেবাংলা নগর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. লিটন মাতব্বর বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তাহেরকে আমরা আটক করেছি। প্রত্যক্ষদর্শী বাচ্চুর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান আছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছি আমরা। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসের কেউ না, এখানে ভাড়া থাকে। আমরা চেষ্টা করছি ক্যাম্পাসে বহিরাগত সীমিত করতে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আমরা আরও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছি।’