আকাশজুড়ে কালো মেঘে ঢাকা। গোমড়া আকাশের বাগড়ায় ফুটছিলো না ভোরের আলো। তখন সকাল সাড়ে ৬টা। সকালটা রূপ নিলো সাঁঝের। শুরু হলো বৃষ্টি। সেইসঙ্গে থেমে থেমে বজ্রপাতের শব্দ। মুষলধারার বৃষ্টিতে মুহূর্তেই ডুবলো রাজধানীর অলি-গলি। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। কোনো কোনো প্রধান সড়কেও দেখা গেছে এই জলধারা।
তীব্রতা কমলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। কিন্তু যেভাবেই হোক না কেন, অফিসে তো যেতেই হবে। শুরু হয় অফিসগামীদের ভোগান্তি।
রাজধানীর মুগদা, কমলাপুর, মালিবাগ, খিলগাঁও, সিপাহীবাগ, মগবাজার, কাওরানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যেই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অফিসে যাচ্ছেন। এক ছাতাতে করে যাচ্ছেন দুইজন। আবার কারো মাথায় ছাতা নেই। বৃষ্টিতে ভিজে দ্রুত কারখানায় ছুটছেন অনেকে। কেউবা আবার দোকানের ছাউনিতে দাঁড়িয়ে আছেন বৃষ্টি কমার আশায়।
বাসস্টপেজগুলোতে দেখা যায়, অফিসগামী যাত্রীদের ভিড়। একটি বাস আসলেই তার পেছনে ছুটছেন যাত্রীরা। কিন্তু বৃদ্ধা আগুল দেখিয়ে গেটলক করে বাসগুলো চলছে আপন গতিতে। গণপরিবহনে উঠতে না পেরে অনেকই হেঁটেই বৃষ্টিতে ভিজে চলছেন অফিসের উদ্দেশে। কারণ, অফিসে লেট করা যাবে না।
রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৮টায় অফিস শুরু। কাওরানবাজার যাবো। কোনো বাসে উঠতে পারছি না। সকালেই বের হয়েছি। বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছি। আজ সময় মতো অফিসে পৌঁছাতে পারবো কি না ভাবছি।’
মৌচাকে আরেক চাকরিজীবী শহিদুল হক বলেন, ‘আমার অফিস ছিলো সকাল ৮টায়। বৃষ্টির কারণে আজ দেরি হয়ে গেছে। বাসে উঠতে না পেরে হেঁটেই ভিজে অফিসে যাচ্ছি।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঢাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে সকাল ৬টার কিছু সময় পর থেকে। বৃষ্টির এ ধারা প্রায় সারাদিনই থাকতে পারে। একটানা বৃষ্টি না হলেও থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া আকাশও মেঘলা থাকতে পারে। মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে আগামী তিন থেকে চারদিন অনেক বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির বাইরে আপাতত ঝড়ের বড় কোনো আভাস নেই।’