বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি খরচের চেয়ে সাড়ে দশ হাজার টাকা কমে এই প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে পারবেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক হজযাত্রীর ব্যয় হবে সর্বনিম্ন ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। তবে ব্যক্তিগত ও কুরবানির খরচ এই প্যাকেজের বাইরে রাখা হয়েছে। এসব খরচ হাজিদের ব্যক্তিগতভাবে বহন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টন হোটেল ভিক্টোরিতে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ‘হজ প্যাকেজ’ ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসরকারি হজ প্যাকেজে বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪৪ টাকা। পরিবহণ ভাড়া ৩৫ হাজার ১৬২ টাকা ধরা হয়েছে। খাওয়ার খরচ হিসাবে ৩৫ হাজার টাকার পাশাপাশি ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা দিতে হবে ‘সার্ভিস চার্জ’ হিসাবে। হজ গাইডসহ অন্যান্য খরচ ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৭৯ টাকা।
হাব সভাপতি বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি হজ যাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে। দালাল বা প্রতারক চক্র থেকে রক্ষা পেতে হজের নিবন্ধন করার সময় অবশ্যই রেজিস্ট্রার হজ এজেন্সির কি না সেটি যাচাই করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংক বা নগদ টাকায় লেনদেন করার পর তার তথ্য-প্রমাণও সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া হজযাত্রীদের নিজ উদ্যোগে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে; পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে হজের খরচ পড়বে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৭ জুন সৌদি আরবে হজ হবে। সৌদি সরকারের সঙ্গে করা হজ চুক্তি অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।