২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল এই আট বছরের আইসিসি ইভেন্টগুলো বণ্টন করা হবে বিডিং প্রক্রিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সদস্য দেশগুলোতে সফর করছেন সংস্থাটির সিইও মানু সোয়ানি ও কমার্শিয়াল জেনারেল ম্যানেজার ক্যাম্পবেল জেমিসন। দেশগুলোর সরকারকে তারা বোঝাচ্ছেন, আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক হলে কীভাবে দু’পক্ষই লাভবান হবে।
মানু ও ক্যাম্পবেলের এবারের সফর বাংলাদেশে। একদিনের ঝটিকা সফরে গত রাতে ঢাকায় পৌঁছান এ দুই কর্মকর্তা। আজ বিসিবি কর্মকর্তাদের পাশাপশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা। জাতীয় সংসদে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।
২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইভেন্টগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বিগ থ্রি ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। এতে করে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা শ্রীলংকার ভাগ্যে তেমন কিছু জোটেনি। তবে ২৪ থেকে ৩১ সাল এই আট বছরে বিশ্বকাপের মতো একাধিক বড় ইভেন্ট পেতে পারে বাংলাদেশ। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, বৈশ্বিক ইভেন্টের জন্য বিড করবেন তার।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় যেসব দেশ আইসিসি ইভেন্ট হোস্ট করেছে, সেই দেশগুলোতে ওরা সফর করছে। ইভেন্টগুলো সম্পর্কে বোঝানোর জন্য। এই টুর্নামেন্ট করলে বেনিফিটস কী, সে সম্পর্কে বোঝাবে। এটা একটা বিডিং প্রসেসের মাধ্যমে হবে। লাভ-ক্ষতি দেখে আমরা বিডিংয়ে অংশ নেব।’
১৯৯৮ সাল থেকে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের সফল আয়োজন করতে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছে আইসিসি।
সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আগে যে টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করেছি, তা বিড করে নিয়েছিলাম। বিডিং প্রসেস সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করতে কাল (আজ) স্বরাষ্ট্র ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা। বিডিংয়ের জন্য টেন্ডার ডকুমেন্ট থাকে, সেখানে জানতে চাওয়া হয় হোস্ট রাইটস পেতে চাইলে আমরা কী কী সুবিধা দেবো। আমরা তখন বলব, নিরাপত্তা দেবো, হোটেল দেবো, চারটি মাঠ দেবো। মিডিয়া ফ্যাসিলিটে দেবো। ওগুলো অ্যাসেস করে তারা ইভেন্ট বণ্টন করবে।’ বিকেল ৩টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিকেল ৪টায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করবে আইসিসি প্রতিনিধি দল।