ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ২০২২ সালে কাওয়ালি গাইতে পারেনি ব্যান্ড সিলসিলা। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় পণ্ড হয় তাদের পরিবেশনা।
চার বছর পর ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট শুরু হয় এই দলের পরিবেশনা দিয়ে।
এই দলের সদস্য ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিষয়টি জানান তিনি নিজেই।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপমহাদেশের সংগীত কিংবদন্তি রাহাত ফতেহ আলী খান ছাড়াও গান পরিবেশন করেন র্যাপার হান্নান, র্যাপার সেজান, আফটারম্যাথ, চিরকুট, আর্টসেল ও সিলসিলা ব্যান্ড দল।
আয়োজন শুরুই হয় সিলসিলা ব্যান্ডের কাওয়ালি দিয়ে। অনুষ্ঠানের দর্শক ও আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রমুখ।
পুরোনো দিনের বিভীষিকাময় স্মৃতিচারণ করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ২০২১ সালে টিএসসিতে একটা কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। আজ যে সিলসিলা ব্যান্ড পারফর্ম করলো, একসময় আমি ওই দলের সদস্য ছিলাম। আমরা ওই কনসার্টটি করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, সেদিন যে দর্শকরা এসেছিলেন, তাদের ওপর ফ্যাসিবাদী সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ হামলা করেছিল। আমাদের বোনেদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। গানে, সাংস্কৃতিক সমাবেশেও তাদের এতটা ভয় ছিল যে, তারা আমাদের তখন গান গাইতে দেয়নি। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে রাহাত ফতেহ আলী খান কাওয়ালি গাইতে এসেছেন।
মূলত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা দিতে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্টের আয়োজন করা হয়। কনসার্টের টিকিট বিক্রির অর্থ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা কল্যাণমূলক সংস্থা ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দেওয়া হবে।