নিউজিল্যান্ড সফরে গেলেই বিশ্বকাপের হাওয়া লাগতে শুরু করবে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের গায়ে। এরপর ভালো একটা বিরতি দিয়ে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ। তার পরে বিশ্বকাপের বড় সূচি। বিশ্বকাপের মূল আসরের আগে আবার থাকে প্রস্তুতি ম্যাচ। ওই প্রস্তুতি ম্যাচও বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ভালো মঞ্চ। কারণ বাংলাদেশ খেলবে ভারত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে।
এবারের বিশ্বকাপের সূচিটা বেশ টাইট। দু’একটা ম্যাচ জিতে নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ নেই। প্রতিপক্ষ নয়টি দলেরই মুখোমুখি হতে হবে প্রত্যেকটি দলকে। সেখান থেকে চার দল খেলবে সেমিফাইনাল। সেমিফাইনাল-ফাইনাল বাদ দিয়েও প্রায় দেড় মাসের সফর প্রতি দলের। তবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচকে গুরুত্ব দেয় প্রত্যেক দলই। ফুটবল বিশ্বকাপেও আছে প্রস্তুতি ম্যাচের সুবিধা।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ খেলবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও ভারত। কার্ডিফের ওয়েলস স্টেডিয়ামে ২৬ মে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ ২৮ মে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ম্যাচের মর্যাদা পাবে না ওই ম্যাচ প্রস্তুতি ম্যাচ।
বাংলাদেশ আগামী ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ না পাওয়া স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হবে ৫ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত। এরপর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। সেখান থেকে ইংল্যান্ডে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন মাশরাফি-সাকিবরা।