বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণ উৎসবে শার্শা ও গদখালির ফুল চাষীরা এবার বাজারজাত করেছন বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ফুল। কিছুদিন পরেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসগুলোর ফুলের বাজার ধরতে ব্যস্ত সময় পার করা চাষীদের কাছে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস হয়ে উঠেছে উৎসবের। ফ্লাওয়ার সোসাইটি বলছে, দেশে ৩০ লাখ লোকের জীবিকা ফুলকে কেন্দ্র করে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ফুলের বাজারও দখল করছে বাংলাদেশের ফুল।
চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, লং স্টিক গোলাপ দুই সপ্তাহ সংরক্ষণ করে রাখা যা। তাই তারা এবার এ জাতের গোলাপ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। চাষীরা এবার টিস্যু কালচারের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করেছেন জারবেরা ফুল।
সরেজমিনে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি, পানিসারা, নাভারণ, নির্বাসখোলা শার্শার উলাশী এলাকায় লং স্টিক রোজের পাশাপাশি বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন দোল খাচ্ছে জারবেরা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, হলুদ গাঁদা ও চন্দ্রমল্লিকাসহ হরেক রকমের ফুল। বাতাসে ফোটা ফুলের সুবাস ছড়িয়ে যাচ্ছে চারদিকে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, দেশে ফুলের মোট চাহিদার ৭০ ভাগই যশোরের গদখালি ও শার্শা থেকে সরবরাহ করা হয়। দেশে বর্তমানে ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা এই চাষ বা ফুলকে কেন্দ্র করে। প্রায় ২০ হাজার কৃষক ফুল চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে কেবল যশোরেই প্রায় ৭ হাজার ফুলচাষী রয়েছেন।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক জানান, এবার জেলায় ৬৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করা হয়েছে। দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগের বেশি যশোরের গদখালি ও শার্শা থেকে সরবরাহ করা হয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ফুল এখন যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ায়।