প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা-সাহিত্য এবং সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়া আমাদের কর্তব্য। এই থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিবে। এছাড়া একুশের চেতনায় ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষা এবং দেশ গড়ার সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একুশে পদক বিজয়ীদের মাঝে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী সরকারের অধীনেই রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা লাভ করেছে। এমনকি শহীদ মিনারও নিমার্ণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদক তুলে দেন।
পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পেয়েছেন একটি সোনার পদক, সনদ ও দুই লাখ টাকার চেক। পদক বিজয়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ নিজ পদক গ্রহণ করেন এবং মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের স্বজনেরা এই পদক গ্রহণ করেন।
২০১৯ সালের একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপু ও অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম, সংগীতে সুবীর নন্দী, আজম খান (মরণোত্তর) ও খায়রুল আনাম শাকিল, অভিনয়শিল্পে লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা ও লিয়াকত আলী লাকী, ভাষা সাহিত্যে ইমদাদুল হক মিলন, রিজিয়া রহমান, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মঈনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস, মুক্তিযুদ্ধে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য, গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, ড. মাহবুবুল হক ও ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া এবং শিল্পকলার চারুকলা ও আলোকচিত্রে সাইদা খানম ও জামাল উদ্দিন আহমেদ।
এসময় বিজয়ীদের মঙ্গল কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী ।