কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করেছে তারা। গত শনিবার রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচর পৌঁছাতে একেকটি নৌকার কয়েক ঘণ্টা লেগে যাবে। তবে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা আশঙ্কা করছে, রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের এই দ্বীপে নিয়ে গেলে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে। কারণ দ্বীপটি বন্যাপ্রবণ, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও অনেক। তৈরি করা হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টার। সাগরে জোয়ার হলে ভাসানচরে পানি উঠে যায়। দীপ রক্ষার জন্য যে উচ্চতার প্রাচীর দেওয়া হয়েছে, তাও যথেষ্ট নয়।
ভাসানচরে এসব সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা দিতে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি একপি পরিকল্পনা করেছে। যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘কনসেপ্ট অব অপারেশন’। এটি নথি আকারে বাংলাদেশের কাছে দেওয়া হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে কেমন সহায়তা দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে নথিতে। তবে এ-ও বলা হয়েছে, মানবিক নীতি সমুন্নত রেখে আগ্রহী রোহিঙ্গাদেরই কেবল এই দ্বীপে যেন স্থানান্তর করা হয়।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা, স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করা ও তাদের জন্য টেকসই বসতি গড়ার জন্য ৮৬ লাখ থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার তহবিলের জন্য বিশ্বের কাছে আবেদন জানানো হতে পারে।
এদিকে, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয় হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তারা বাংলাদেশকে সতর্ক করে বলে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের সেখানে নেওয়া যাবে না। ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষাবিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার ভলকার টার্ক কপবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন।