ভিক্টোরিয়া হ্রদে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ১৯

image-613076-1667736539

ঝড় ও তুমুল বৃষ্টির মধ্যে বাকুবা বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করার সময় প্রিসিশন এয়ারের ফ্লাইট পিডব্লিউ৪৯৪ হ্রদে আছড়ে পড়ে।
তাঞ্জানিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাশিম মাজালিওয়া বলেছেন, আফ্রিকার সর্ববৃহৎ হ্রদ ভিক্টোরিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া যাত্রীবাহী বিমানটির অন্তত ১৯ আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার সকালের দিকে ঝড় ও তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কাছের বাকুবা বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করার সময় প্রিসিশন এয়ারের ফ্লাইট পিডব্লিউ৪৯৪ হ্রদে আছড়ে পড়ে বলে তাঞ্জানিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম টিবিসির খবরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা নৌকায় করে বিধ্বস্ত বিমানের কাছে পৌঁছে লেজের কাছের অংশ বাদে বাকি অংশ পানির নিচে দেখতে পান, জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

একাধিক ছবিতেও বিমানটির কেবল সবুজ-বাদামি রংয়ের লেজের অংশ পানির ওপরে ভেসে থাকতে এবং এর চারপাশে জেলেনৌকা ও উদ্ধারকর্মীদের দেখা গেছে।

“যে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের জন্য তাঞ্জানিয়ার সবাই শোকার্ত,” হ্রদের ধারের শহর বুকোবাতে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া।

কী ঘটেছিল, তদন্তকর্মীরা তা খতিয়ে দেখছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালাম থেকে যাত্রা শুরু করে এবং বুকোবা বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটের দিকে হ্রদে পড়ে, বিবৃতিতে বলেছে প্রিসিশন এয়ার।

বিমানটিতে একটি শিশুসহ ৩৯ যাত্রী ও ৪ ক্রু ছিল, বলেছে তারা। ৪৬ আরোহীর মধ্যে ২৬ জনকে উদ্ধারের খবরও বিবৃতিতে দিয়েছিল তারা।

পরে আরও বিস্তারিত জানতে এয়ারলাইন্সটির কর্মকর্তাদের ফোন করা হলেও তারা তা ধরেননি। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নিহতের সংখ্যার সঙ্গে এয়ারলাইন্সের বিবৃতিতে থাকা আরোহী ও উদ্ধারের সংখ্যায় অমিল দেখা যাচ্ছে; তাৎক্ষণিকভাবে কোনটা ঠিক কিংবা উদ্ধার আরোহীদের কেউ পরে মারা গেছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ভিডিও ফুটেজে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেককে হ্রদটির তীরে দাঁড়িয়ে এবং কাউকে কাউকে অগভীর পানিতে নেমে দড়ির সাহায্যে বিমানটিকে তীরে নিয়ে আসার চেষ্টায় শামিল হতে দেখা গেছে।

প্রথমদিকে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে ককপিটে থাকা চালকদের যোগাযোগ ছিল বলে কাগেরা অঞ্চলের প্রধান প্রশাসক আলবার্ট কালমিলা সাংবাদিকদের বলেছেন।

চালকরাও সম্ভবত মারা গেছেন, পরে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Pin It