ভিপি ২১, জিএস ১৪, বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন ৫৬ জন

Untitled-34-5c7c2e30c0b92-5c7c3cc45fc95

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ট্রেনে এখন ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন। ভোটার তালিকা আর প্রার্থীও চূড়ান্ত। নির্বাচনে মোট ভোটার ৪৩ হাজার ১৭৩। ডাকসুতে প্রার্থী ২২৯ জন, আর ১৮টি হল সংসদে ৫০৯ জন। আজ সোমবার থেকে পূর্ণগতিতে ছুটবে নির্বাচনী ট্রেন, ১১ মার্চ পৌঁছাবে গন্তব্যে।

গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রতিটি পদের বিপরীতে লড়বেন নয়জন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২১ ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে রয়েছেন ১৪ জন। সব মিলিয়ে ২৫টি পদের বিপরীতে মোট ২২৯ জন রয়েছেন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায়। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে ডাকসুর ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

ভিপি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ছাত্রদলের মোস্তাফিজুর রহমান, প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ে গঠিত বামজোটের লিটন নন্দী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর। জিএস  প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী, ছাত্রদল থেকে খন্দকার আনিসুর রহমান অনিক, বামজোট থেকে ফয়সাল মাহমুদ, কৌশলগত কারণে বামজোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্র ফেডারেশন থেকে উম্মে হাবিবা বেনজির, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে রাশেদ খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় উম্মে হাবিবা বেনজির ও আসিফুর রহমানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। বেনজিরকে বাদ দেওয়া হয়েছিল ভোটার তালিকায় নাম না আসার জন্য এবং আসিফকে তথ্যের অসম্পূর্ণতার জন্য। তখন ‘সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও’ প্রার্থিতা বাতিল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। ২৮ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য বরাবর পৃথকভাবে লিখিতভাবে আপিল করেন তারা। আপিল গ্রহণ করে গতকাল প্রকাশিত তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

কেন্দ্রীয় সংসদে এজিএস পদে ১৩ প্রার্থী, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ৯, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ৯, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ১১, সাহিত্য সম্পাদক ৮, সংস্কৃতি সম্পাদক ১২, ক্রীড়া সম্পাদক ১১, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১০, সমাজসেবা সম্পাদক ১৪ এবং সদস্যপদে ৮৬ জন রয়েছেন চূড়ান্ত তালিকায়।

হল সংসদের মধ্যে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ২৭, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ২২, জগন্নাথ হলে ২৮, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৩৬, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ২৭, সূর্য সেন হলে ২৬, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৩৩, স্যার এ এফ রহমান হলে ৩৭, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ২৭, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ২৬, কবি জসীম উদ্‌দীন হলে ২৫, অমর একুশে হলে ২৯, বিজয় একাত্তর হলে ৩০, রোকেয়া হলে ৩০, শামসুন্নাহার হলে ২৫, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ১৭, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৩৪ এবং কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩৯ জনসহ মোট ৫০ জনের নাম চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় এসেছে। হল সংসদের বিভিন্ন পদে শুধু একজনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, কিছু মনোনয়নপত্র বাতিল ও প্রত্যাহার করায় ৫৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

কোন হলে কত ভোটার : ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ১৭৩ জন।

এর মধ্যে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে এক হাজার ৮০১, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে দুই হাজার ৫৩৮, জগন্নাথ হলে দুই হাজার ৪৪৩, ফজলুল হক মুসলিম হলে দুই হাজার ৭০, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে দুই হাজার ২৫৫, সূর্য সেন হলে দুই হাজার ৩১, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে এক হাজার ৯৮২, স্যার এ এফ রহমান হলে এক হাজার ৮৩১, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এক হাজার ৭৯৬, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে দুই হাজার ২৪৭, কবি জসীম উদ্‌দীন হলে এক হাজার ৬২৮, অমর একুশে হলে এক হাজার ৩৪০, বিজয় একাত্তর হলে তিন হাজার ১৪৭, রোকেয়া হলে চার হাজার ৪৫৩, শামসুন্নাহার হলে তিন হাজার ৭৩৭, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে দুই হাজার ২৪৪, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে এক হাজার ৯২০ এবং কবি সুফিয়া কামাল হলে তিন হাজার ৭১০ জন।

Pin It