নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি ৩টি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে আলীকদম উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা আরও চার দিন বৃদ্ধি করা হয়। তবে আলীকদম উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্রমতে, বান্দরবান জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি এবং থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি ৩টি উপজেলার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল ৪টি উপজেলায়। তবে নতুন প্রজ্ঞাপনে আলীকদম উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় গত মাসের ১৮ অক্টোবর থেকে এবং থানচি উপজেলায় গত মাসের ২৩ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সময়সীমা আরও ৪ দিন বাড়িয়ে রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি ৩টি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা ১২ নভেম্বর করা হয়েছে। তবে আলীকদম উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে গোটা বান্দরবান জেলায় ধস নেমেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্যে। পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে জেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো।
এদিকে নিষেধাজ্ঞায় রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণা, থানচি উপজেলার নাফাকুম, অমিয়কুম, বড়পাথর, রেমাক্রী, বাদুরগুহা, আন্ধারমানিক, বাকলাই ঝর্ণাসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না পর্যটকরা।