শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাই দিলেন কমল নাথ। শুক্রবার ভোপালে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি। সেখানেই নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই রাজ্যপাল লালজি টন্ডনের কাজে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত ২২ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে বাগে আনতে পারেনি কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে এদিন ভোপালে সংবাদ সম্মেলন করেন কমল নাথ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার পর তার অনুগামী ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেন। সেই থেকে বেঙ্গালুরুর একটি রিসোর্টে রয়েছেন তারা। জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বিজেপিই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এ দিন দাবি করেন কমলনাথ। তিনি বলেন, ‘আমার সরকারকে উৎখাত করতে মহারাজার সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। ওরা ভাবছে এভাবে আমার প্রদেশের মানুষকে হারিয়ে জিতে যাবে ওরা। কিন্তু তা হবে না।’
২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এই মুহূর্তে আসন সংখ্যায় এগিয়ে বিজেপিই। এদিন দলের বিধায়ক শরদ কউল ইস্তফা দেওয়ার পরও তাদের কাছে ১০৬টি আসন রয়েছে। ২২ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর কংগ্রেসের কাছে রয়েছে ৯২টি আসন। বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), সমাজবাদী পার্টি (সপা) এবং চারজন নির্দল বিধায়কেরও সমর্থনও রয়েছে তাদের কাছে। তাতে ম্যাজিক সংখ্যা ১০৩ পার করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ওই শরিকদের মধ্যে অনেকেই বিজেপির হাত ধরার কথা ভাবছেন।