মাওলানা মামুনুল ও ফয়জুল করিমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাস্কর্য ভাঙচুর

image-204479-1607258498

মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পুলিশকে জবানবন্দীতে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃতরা।

শনিবার রাতে এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন (২৭) ও মো. ইউসুফ আলী (২৬)। একই মাদ্রাসার ছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) ও মো. সবুজ ইসলাম নাহিদ (২০)।

দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা বিভাগের ডিআইজি ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, সিসি ফুটেজ দেখে দুইজনকে প্রথমে শনাক্ত করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসাছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুনকে গ্রামের বাড়ি জেলার মিরপুর উপজেলার শিংপুর থেকে এবং মো. সবুজ ইসলাম নাহিদকে জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরা দুজনই জুগিয়া পশ্চিমপাড়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়।

তারা জবানবন্দীতে পুলিশকে জানায়, মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে। এছাড়া ভাস্কর্য ভাঙচুর ঘটনার বিবরণও পুলিশের কাছে তুলে ধরেন তারা।

জানান, শহরের মজমপুর রেল লাইনের পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে তারা দুজন ভাস্কর্য চত্বরে আসেন। এরপর ভাস্কর্য নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মইয়ের সাহায্যে রাত ২টার দিকে উপরে উঠে হাতুড়ি দিয়ে ভাস্কর্য ভাঙচুর ও ক্ষতিগ্রস্ত করে পালিয়ে যান দুজন।

শনিবার সকালে তারা মাদ্রাসা শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে জানান ঘটনাটি। ওই শিক্ষকরা তাদেরকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। পরে আটকদের স্বীকারোক্তি মতে শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলা হয়েছে। আসামিদের রবিবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ডে এনে এ ঘটনায় অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা জেনে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজ একেএম নাহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Pin It