জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরখাস্তকৃত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদের দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর চায় আওয়ামী লীগ।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনলাইন ভিত্তিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য আইনসঙ্গতভাবে যা করার সেটা শুরু হয়ে গেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ফাঁসির রায়ে কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের সব বিচারিক প্রক্রিয় সম্পন্ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় প্রদান করা হয়েছিল। বিচারিক আদালতের দেয়া ফাঁসির রায় হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিমকোর্টে গেলে সুপ্রীমকোর্ট ফাঁসির রায় বহাল রাখে।
তিনি বলেন, এই খুনিদের ফাঁসির রায় সম্পূর্ণ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের সংবিধান ও প্রচলিত ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী ফাঁসির রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ফাঁসির রায় কার্যকর করার কথা আইনে উল্লেখ আছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক বাকি আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে কাদের বলেন, মাজেদের গ্রেফতারের পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আরও ৫ দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি-রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, কর্ণেল রশিদ ও মুসলেহউদ্দিন রিসালদার পলাতক অবস্থায় আছে। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং সেটা আরও জোরদার করার দাবি জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এই জাতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়। পৈশাচিক ও নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বা একটি দল ও তার আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা করা হয়নি বরং একটি সদ্য স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে গলা টিপে হত্যা করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল।