দেশে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় সামনে এলে প্রধানমন্ত্রীকেই কেন সে বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হয় সে প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের দায়িত্ব বোধ থেকেই ভূমিকা রাখেন তিনি, কেউ তাকে কিছু চাপিয়ে দেয় না।
বুধবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি একটা সরকার প্রধান। মাথা থাকলে মাথাব্যথা তো হবেই। আমি মনে করি যে, কখন কোথায় কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটা নজর রাখা আমার দায়িত্ব, আমার কর্তব্য।
“আমাকে যদি প্রশ্ন করেন…এটা আমি নিজেই করি। এমন না যে কেউ আমাকে চাপিয়ে দিচ্ছে। এটা আমার নিজের অনুভূতি থেকে আমি করি। আমাকে কে এসে কখন কী বলবে কে এসে কী করবে- ওই চিন্তা করি না।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি এই রাষ্ট্র, এই দেশ আমার। আমার দেশের মানুষের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমার। আমি যতক্ষণ পারি নজরদারিতে রাখি। আমি চেষ্টা করি তাদের ভালো-মন্দ দেখতে।”
বার বার কেন তাকে এই প্রশ্ন করা হয়, তা তার বোধগম্য নয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এতক্ষণ আপনার কথার পরে ওইটাই মনে আসল এর আগে আপনারা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রাষ্ট্র চালানো দেখেছেন। আপনাদের অভ্যাসই খারাপ হয়ে গেছে। ওইটাই অভ্যাস হয়ে গেছে আমার যেটা মনে হচ্ছে।
“আমি এসে যদি বলতাম, ওহ হো এই পানির কথা আমি তো ভুলেই গেছি। তাহলে খুশি হতেন, এইতো?”
শেখ হাসিনা বলেন, “আসলে আপনাদের বদ অভ্যাস হয়ে গেছে। কারণ এর আগে তো দেখেছেন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুম দিয়ে উঠে রাত ২টা পর্যন্ত জেগে থেকে দেশ চালাতে তো! সেটা দেখে অভ্যাসটা খারাপ হয়ে গেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক নবম ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করা যায় কি না, সে প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেখুন এইটা হচ্ছে সাংবাদিকদের আর মালিকদের বিষয়। এখানে অনেকেই বসে আছেন। উত্তরটা তো তাদের দেওয়া উচিত।
“আমাদের যে দায়িত্বটা ছিল সেটা তো আমরা করে দিয়েছি। মালিকরা যদি না দেয় সেটা এখন আমি কী করব বলেন? তারপরও তো আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি ও বলছি। মালিকদের বলেন তার ব্যবস্থা করতে। মালিক তো আমি অনেকগুলো চেহারা দেখতে পাচ্ছি এখানে।”
শেখ হাসিনা বলেন, ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা এখন সংবাদপত্র মালিকদের দায়িত্ব। তাদের যে পয়সা নেই তা তো না।
“পয়সা তো ভালোই আছে। তা না হলে পত্রিকা চালায় কীভাবে? টেলিভিশন চালায় কীভাবে? তারা দেবে না কেন? আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি।”