কুমিল্লার চান্দিনায় মাদক বিক্রি নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ৬ মামলার আসামি মো. জুয়েল মিয়াজী (৩২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে মাদককারবারির অপর গ্রুপ।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর বাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে জুয়েলকে আহতাবস্থায় ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নিহত জুয়েল পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামের মো. সফিউল্লাহর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রাম। ওই গ্রামের জুয়েল মিয়াজী দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে কচুয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। তার সঙ্গে চান্দিনার লেবাস গ্রামের সম্রাট নামে এক মাদককারবারির সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে জুয়েলকে উজানী থেকে ধরে চান্দিনার লেবাস গ্রামে নিয়ে আসে প্রতিপক্ষ গ্রুপটি। লেবাস গ্রামের ফসলি মাঠের আইলে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করার একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে জুয়েল রানা। শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের দুইজন তাকে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই সোহেল রানা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে আমার ভাইয়ের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। সকাল সাড়ে ৯টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমার মা হনুফা বেগমকে ফোন করে জানান, আমার ভাই নবাবপুর টাওয়ার হাসপাতালে ভর্তি। খবর পেয়ে আমরা ওই হাসপাতালে আসার পর দেখি আমার ভাই মারা গেছে। আমার ভাই প্রায় পাঁচ বছর মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল। সম্প্রতি সে ওই ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ায় সম্রাট ও তার গ্রুপের লোকেরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, আমরা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নবাবপুর টাওয়ার হাসপাতালে যাই। সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারি হত্যাকারী চক্রের দুজন তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে আসার পরও এক ঘণ্টারও বেশি সময় জীবিত ছিল সে। কিছু কথাও বলেছে। সকাল ১০টার দিকে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সোহেল মিয়াজী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।