স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এ জন্য আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরও মাদক ব্যবসা না ছাড়লে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
রোববার গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নাপিতেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদকবিরোধী সুধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সমাবেশে ২০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও ৫৬ জন মাদকসেবনকারী আত্মসমর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, সুন্দরগঞ্জে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করেন এবং যারা সেবন করেন, তারাও এ মাদকবিরোধী সমাবেশে এসেছেন। ফলে আপনারই জানিয়ে দিয়ে গেলেন মাদক কতখানি ভয়ানক। আপনারা মাদক ব্যবসা ছেড়ে ভালো ব্যবসায় নিয়োজিত হোন। যদি তা না করেন, তবে পরিণতি হবে খুবই ভয়াবহ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহি রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খন্দকার প্রমূখ।
মাদকবিরোধী সুধী সমাবেশের আগে দুপুরে ফুলছড়ি নতুন থানা ভবনের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময়ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।