দুশ্চিন্তা আসবেই। তবে সেটা সুন্দরভাবে কমিয়ে রাখতে জানা থাকা চাই কিছু পন্থা।
যার দায়িত্ব নেওয়ার বয়স হয়েছে এবং যে দায়িত্ববান তার দুশ্চিন্তা না থাকাই অস্বাভাবিক। বিশেষত, এই মহামারীর দিনগুলোতে।
চাকরি, ব্যবসা, সন্তানদের লেখাপড়া, সংসার চালানো, বাবা-মায়ের শারীরিক অবস্থা, নিজের স্বাস্থ্য, ভাইরাসের আতঙ্ক, দুশ্চিন্তার যে কত কারণে হতে পারে তার তালিকা হয়ত শেষ হবে না। সেই দুশ্চিন্তা থেকেই আসবে মানসিক অস্বস্তি, অস্থিরতা।
তবে এসবই জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই নিজেকে ভালো রাখতে এবং জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হলে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও দুশ্চিন্তাগুলো ভুলে থাকা শিখতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল এমন কয়েকটি উপায় সম্পর্কে।
নিজের জন্য সময়: মানসিক অস্বস্তি থেকে সাময়িক ছুটি নেওয়ার অত্যন্ত কার্যকর একটা উপায় হতে পারে এমন কিছুতে ব্যস্ত হয়ে পড়া যা আপনার খুবই পছন্দের। কাজটা কী হবে তা নির্ভর করবে আপনি কী করে সময় কাটাতে পছন্দ করেন তার ওপর। আড্ডা, বই পড়া, সিনেমা দেখা, গেইমস খেলা, বেড়াতে যাওয়া যেকোনো কিছু।
না বলতে শিখুন: জীবনে যা ঝামেলা আছে তাতেই যখন আপনি হিমশিম খাচ্ছেন, তখন নতুন কোনো কাজ বা প্রতিশ্রুতিতে না জড়ানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। হাতে যা কাজ আছে সেটাই যদি শেষ করতে কষ্ট হয় তবে বেশি পয়সার লোভে নতুন কাজ নেওয়াটা কখনই উচিত হবে না। বেড়াতে যাওয়া যদি সময় বের করতে না পারেন তবে কারও বেড়ানোর দাওয়াতে সাড়া দিয়ে পরে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো মানে হয় না। এতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের মানসিক চাপ বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই ঘটবে না।
মনকে বিশ্রাম দেওয়া: মানসিক চাপ যদি নাগালের বাইরে চলে যায়, তবে এখনই সময় একটু পিছিয়ে যাওয়ার। কয়েকটা দিনের জন্য নিজেকে ছুটি দিন। সব দায়িত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের সঙ্গে সময় কাটান। সেই সময়ে নিজের প্রিয় কাজগুলোর পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তির জন্য যোগব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদি অনুশীলন করতে পারেন।
আলোচনা: নিজের মধ্যে চেপে থাকা সমস্যাগুলো নিয়ে কারও সঙ্গে আলাপ করার সুযোগ পেলে ছেড়ে দেবেন না। এতে মানসিকভাবে তো হালকা লাগবেই, কে জানে হয়ত কিছু সমস্যার সমাধানও পেতে যেতে পারেন। তবে আলোচনার সঙ্গী নির্বাচনে খুব সাবধান। বিশ্বস্ত কাছের মানুষগুলোর সঙ্গ বেছে নেওয়াই হবে মঙ্গল। প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারেন।
হেসে উড়িয়ে দেওয়া: হাসি নাকি পৃথিবীর সবচাইতে ভালো ওষুধ। তাই মানসিক অস্বস্তি যখন সহ্যের বাইরে, তখন কিছু অস্বস্তি হেসেই উড়িয়ে দিন না। যদি আবার ফিরে আসে তবে আবার হেসে উড়িয়ে দেবেন। এখন কীভাবে উড়াবেন সেটা ঠিক করতে হবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বসে স্বাভাবিকভাবে হাসির ছলেই যে বিষয়গুলো অস্বস্তি তৈরি করছে সেগুলো বলে ফেলুন। আড্ডার আমেজে সেই সমস্যাগুলো নিয়ে কৌতুক করেই অস্বস্তিকে সাময়িক ভুলে যেতে পারবেন।
নেতিবাচক মানুষ থেকে দূরে: যে মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে আপনি শান্তি পান না তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। ভদ্রভাবে তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করতে হবে। সেই মানুষগুলোর আড্ডা থেকে সরে আসতে হবে।