বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের ফলে জনগণ এখন ‘নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না’।
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খানের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রোববার এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, “পত্র-পত্রিকায় যে রিপোর্টগুলো দেখলাম, সেটাতে দেখা যায়নি এই অফিসার (সিনহা) অস্ত্র হাতে নিয়ে আসছেন। তাহলে তাকে গুলি করার প্রয়োজন দেখা দিল কেন? আর পুলিশের নিয়ম আছে গুলি করার প্রাথমিকভাবে আত্মরক্ষার্থে হাঁটুর নিচে, যাতে সে আগাতে না পারে। বুকে গুলি করার অর্ডার তো পুলিশের থাকে না।
“রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা স্তম্ভ দলীয়করণের মাধ্যমে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যে, মানুষের নিঃশ্বাস ফেলার অবশিষ্ট নাই। আজকে আইয়ুব খান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের এই অবস্থা দেখে লজ্জা পেত।”
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, “সিনহা হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা যদি হয়, তাহলে আমার দেশের সরকার প্রধানের কাছে জানতে চাই, দুটি বাহিনীর প্রধান বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য সময় নষ্ট করি্লেন কেন?
“আমরা এইটুকু বিশ্বাস করি, তাদের সর্বোচ্চ যোগ্যতা আছে বলেই তারা সেখানে আছেন। একজন প্রধানেরও তো ওখানে যাওয়ার দরকার হয় না, ঢাকায় বইসা অর্ডার দিলেই দ্যাটস এনাফ।”
কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে অভিযোগ করে তারও বিচারও দাবি করেন গয়েশ্বর।
“বিনা বিচারে উখিয়া-টেকনাফে ২৬৪ জন মানুষ হত্যা হয়েছে। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা যেটা স্বাধীন দেশে হয় না। সন্দেহ করে আপনি মানুষ মেরে ফেলবেন? এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
জাতীয় প্রেস ক্লা্বের স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবু স্মরণে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন গয়েশ্বর।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল বক্তব্য রাখেন।