‘বউ পেটানো’ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিপরিতে করা মানহানি মামলায় হারলেন জনি ডেপ।
২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে ব্রিটেনের ‘দি সান নিউজপেপার’ উল্লেখ করেছিল, যখন একসঙ্গে থাকতেন তখন মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপ তার প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডকে মারধর করতেন।
সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় হার হল ‘পাইরেটস অফ দি ক্যারেবিয়ান’ তারকা জনি ডেপের।
এই বছরের শুরুতে করা এই মামলা ডেপ করেছিলেন ‘নিউজ গ্রুপ নিউজপেপারস’ এবং ‘দি সান’য়ের নির্বাহী সম্পাদক ড্যান উটনের বিরুদ্ধে।
মামলার রায় অনুসারে সিএনএন ডটকম জানায়, সোমবার যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালত প্রকাশকদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
তথ্য-প্রমাণ, ছবি, অডিও এবং ডেপ’য়ের করা বিভিন্ন টেক্সট ম্যাসেজ প্রমাণ হিসেবে হাজির করে সংবাদপত্রটির পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে যুক্ততর্ক উপস্থাপন করেন যে, “অ্যাম্বার হার্ডকে মারধর করার ফলে তিনি যথেষ্ট পরিমাণে আঘাত পেয়েছিলেন, যে কারণে তার মনে মৃত্যু ভয়ও জেগেছিল।”
ডেপ স্বীকার করেন সেই সময় তিনি বহুদিন ধরে মদ্যপান ও ড্রাগসেবনের সমস্যায় ছিলেন। তবে পত্রিকার দাবি অনুসারে হার্ডকে আঘাত করার বিষয়টা “একদমই অসত্য”।
তবে বিচারক অ্যান্ড্রু নিকোল ১২৯ পৃষ্ঠার রায় পড়ার সময় বলেন, প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে পত্রিকার করা দাবি “যথেষ্ট সত্য”।
বিচারক বলেন, “সাক্ষ্য, প্রমাণ এবং ১৪টি ঘটনা বিবেচনা ও ভালোমতো যাচাই বাছাই করেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
উত্তেজনাপূর্ণ এই বহুল আলোচিত মামলায় জুলাই মাসের শুনানিতে জনি, হার্ডসহ তাদের পরিচিতদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
যেখানে হার্ড বলেছিলেন, “ডেপ আমাকে বেশ কয়েকবার খুন করার হুমকি দিয়েছিল।”
পত্রিকার প্রকাশকদের পক্ষের আইনজীবীরা ১৪টি আক্রমণাত্মক ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেন। যেগুলো লস অ্যাঞ্জেলেস, টোকিও অস্ট্রেলিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ঘটে। যদিও সেসব ঘটনা ডেপ অস্বীকার করেছিলেন।
ডেপ’য়ের আইনজীবীরা জানান, হার্ডের সঙ্গে তার কী কথা হয়েছিল সেসব ঠিক মতো মনে করতে না পারলেও এই অভিনেতা মারধরের ঘটনা বিষয়ে স্পষ্টভাবেই অস্বীকার করেছেন।
জনি ডেপের আইনি সংস্থা ‘শিলিংস’ এক বিবৃতিতে জানায়, এই রায়ের ব্যাপারে পুনঃবিবেচনার আবেদন না করার বিষয়টি ডেপে ক্ষেত্রে হবে অসম্ভব ব্যাপার।
এদিকে হার্ড’য়ের আইনজীবী ‘পিএ মিডিয়া’র মাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা যারা লন্ডন উচ্চ আদালতে উপস্থিত রয়েছি তাদের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত ও রায়ের বিষয়টি মোটেই অবাক করার কিছু নয়।”F