মার্চ ফর গাজা: পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ডিএমপির, সজাগ গোয়েন্দারা

1744395875.march for GAZA1

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। দলমত নির্বিশেষে শেষে কর্মসূচিতে বিপুল লোকসমাগমের আভাস মিলছে।

পুলিশ বলছে, শনিবার (১২ এপ্রিল) একটি বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে। এই সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। সজাগ রয়েছেন গোয়েন্দারাও।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাংলানিউজকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি পৃথক ট্রাফিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে গোয়েন্দারা সজাগ রয়েছেন। পাশাপাশি কর্মসূচির নিরাপত্তার জন্য অলরেডি আমাদের সাইবার টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ডিবির ৪২টি টিম কাজ করছে। সুন্দরভাবে যেন এই কর্মসূচি সফল হতে পারে সেজন্য যতরকম গোয়েন্দা নজরদারি আছে সব জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আজ শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। ওই গণজমায়েতে উপস্থিত থাকবেন ইসলামিক স্কলার শায়েখ আহমাদুল্লাহ। তিনি সবার উদ্দেশ্যে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

মার্চ ফর গাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি নির্দেশিকা জানিয়ে ওই পোস্টে আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ‘সকল শ্রেণিপেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করতে চাই। ’

নির্দেশনার বিষয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন-

১.সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব—এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হব।

২. আসার পথ কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব। পানি, ছাতা, মাস্কসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখব। মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিক্যাল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব।

৩. যেকোনো পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

৪. শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব।

৫. জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব। দুষ্কৃতিকারীদেরকে প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।

শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের ডাকা এ কর্মসূচি।

Pin It