বয়সে লাসিথ মালিঙ্গার চেয়ে মাস দুয়েকের ছোট মাশরাফি মর্তুজা। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে মাশরাফির পথচলা শুরু মালিঙ্গার বেশ আগে। মাশরাফি ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপান। মালিঙ্গা গায়ে শ্রীলংকার জার্সি ওঠে ২০০৪ সালে। তবে দু’জনের শেষটা প্রায় একই সময়ে হতে যাচ্ছে। শুক্রবার ঘরের মাঠে বিদায়ী ম্যাচ খেলবেন মালিঙ্গা। মাশরাফিরও সম্ভাবনা আছে ঘরের মাঠে কোন সিরিজ দিয়ে বিদায় বলার। তবে শ্রীলংকার হয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা মালিঙ্গা মনে করেন মাশরাফির এখনও অন্তত এক-দেড় বছর খেলার সামর্থ্য আছে।
মালিঙ্গা প্রায় দেড় দশকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ম্যাচ খেলেছেন ২২৫টি। মাশরাফি ওয়ানডে খেলেছেন ২১৭টি। মালিঙ্গা উইকেট নিয়েছেন ৩৩৫টি। মাশরাফির নামের পাশে উইকেট সংখ্যা ২৬৬। এছাড়া মালিঙ্গা এবং মাশরাফির টেস্ট এবং টি-২০ ম্যাচের সংখ্যাও প্রায় সমান। মাশরাফি এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাশরাফির গুরুত্ব শুধু উইকেট কিংবা ম্যাচ দিয়ে বোঝানো যাবে না।
যখন তিনি ক্রিকেট শুরু করেছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের অখ্যাত এক দল বাংলাদেশ। নতুন টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে। ওই সময়ে একমাত্র বাংলাদেশি বোলার হিসেবে জার্সির কলার উচিয়ে বল করতেন মাশরাফি। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনে শক্ত দল হয়ে উঠেছে। সব দলকে হারানো সম্ভব এই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে টাইগাররা।
মালিঙ্গা জোর দিচ্ছেন ওই খানেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাশরাফির অবদান উল্লেখ করে মালিঙ্গা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিভাবে ভালো করতে হয় সেটা আপনাকে জানতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য মাশরাফি অনেক করেছেন। আমি মনে করি এখান থেকে আরও এক-দেড় বছর বা তার বেশি বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার সামর্থ্য আছে মাশরাফির। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য তিনি বিশেষ কিছুই করেছেন।’