নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা পরিদর্শনের সময় নড়াইল সদরের যে হাসপাতালটির চার চিকিৎসককে অনুপস্থিত দেখেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই চিকিৎসকদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে সাত কর্মদিবসের মধ্যে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
ওএসডি হওয়া চিকিৎসকার হলেন- নড়াইল সদর হাসপাতালের সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আখতার হোসেন, কার্ডিওলজির জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শওকত আলী ও ডা. মো. রবিউল আলম এবং মেডিকেল অফিসার ডা. এ এসএম সায়েম।
এর আগে শনিবার ওই চিকিৎসকদের বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর অনুপস্থিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে শনিবার বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যেসব চিকিৎসক ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ও সাংসদ মাশরাফি গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে আকস্মিকভাবে নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
জানা গেছে, এ সময় হাজিরা খাতায় ওই চিকিৎসকদের স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর এবং পরে অনুপস্থিত সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মাশরাফি।
পরে তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগীদের কাছ থেকে নানা সমস্যার কথা শোনেন ও হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখতে পান।